Cabinet Reshuffle: আগামি বছরেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। সেই তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড-সহ পাঞ্জাব এবং মণিপুর রয়েছে। তাই সেই ভোটকে উপলক্ষ্য করে বুধবার মন্ত্রিসভার রদবদল সেরে নিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামিকাল সন্ধ্যায় এই সম্প্রসারণ, এমনটাই পিএমও সূত্রে খবর। মন্ত্রিসভায় রদবদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে ক্যাবিনেট বৈঠকও। বিজেপি এবং এনডিএ-র শরিক দলের অনেক তরুণ সাংসদ এই সম্প্রসারণে মোদী মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হতে পারে উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের একাধিক বিজেপি সাংসদকে। আগামি বছর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে এই দুই রাজ্য বিজেপির কাছে বড় টার্গেট। এমনটাই জানা গিয়েছে গেরুয়া শিবির সূত্রে।
তবে বুধবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে কারা কারা জায়গা পেতে পারেন? সূত্রের খবর, রাজ্যসভার সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নাম যেমন আছে, তেমন আছেন উত্তরাখণ্ডের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত এবং অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই সম্ভাব্য মন্ত্রীরা দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন। অনেকে পৌছবেন বুধবার বিকেলের মধ্যে। বিজেপি সাংসদদের পাশাপাশি মোদী মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন শরিক জেডিইউ এবং আপনা দলের সাংসদরা। সেই তালিকায় নাম ঢুকেছে জেডি(ইউ)-র দুই সাংসদ, রাজীব রঞ্জন ওরফে লালন সিংহ এবং রামচন্দ্রপ্রসাদ সিংহ এবং আপনা দলের অনুপ্রিয়া প্যাটেলের।
আগামী বছরের গোড়ায় বিধানসভা ভোট হবে মণিপুরেও। সেখানকার বিজেপি সাংসদ রাজকুমার রঞ্জন সিংহ এবার কেন্দ্রে মন্ত্রী হতে পারেন বলে জল্পনা।এদিকে, প্রথমে ঠিক ছিল সপ্তাহ ঘুরলেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। দ্বিতীয় মোদী সরকারের দুই বছর পর এই রদবদল। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে সমীকরণ বদলের একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জোট সরকার থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক বন্ধু বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারে শিব সেনা। ফলে ফের এনডিএ-র শরিক হিসেবে দেখা যেতে পারে উদ্ধব ঠাকরের দলকে। এই সমীকরণ আদৌ মিলবে কিনা ঠিক নেই। কিন্তু মোদী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ মাথায় রেখেই ৮ রাজ্যের রাজ্যপাল পদে অদলবদল করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিছু রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ হয়েছে। কিছু রাজ্যের বদলেছে রাজ্যপাল মুখ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মোদী মন্ত্রিসভার পরিচিত মুখ তওহরচাঁদ গেহলটকে কর্নাটকের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
এই গেহলট রাজ্যসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা ছিলেন। ফলে রাজ্যপাল হিসেবে তার নিয়োগে একটি আসন সংসদের উচ্চকক্ষে খালি হল। এমনটাই সরকারি সূত্রে খবর। সংসদে বাদল অধিবেশন চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই শুরু হওয়ার কথা। সেই অধিবনেশনেই গেহলটের বদলি হিসেবে রাজ্যসভার দলনেতা হিসেবে নতুন মুখ দেখতে পারে সংসদ। তবে শুধু কর্নাটক নয়, মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ এবং হিমাচল প্রদেশেও বদলেছে রাজ্যপাল। বিশাখাপত্তনমের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ হরিবাবু কাম্ভাপাতিকে মিজোরামের রাজ্যপাল নিয়োগ করা হয়েছে।
গুজরাত বিজেপির প্রবীণ নেতা মঙ্গুভাই ছগনভাইকে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল আর গোয়া বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকরকে হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি। মিজোরাম থেকে গোয়ার রাজ্যপাল হলেন শ্রীধরণ পিল্লাই। বন্দারু দত্তাত্রেয়কে হিমাচল প্রদেশ থেকে হরিয়ানার রাজ্যপাল করা হয়েছে। সত্যদেব নারায়ণ হরিয়ানা থেকে ত্রিপুরার রাজ্যপাল হলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন