কর্ণাটক সরকারের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খড়গে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) প্রিয়াঙ্ক বলেন, 'কংগ্রেস হাইকমান্ড চাইলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে প্রস্তুত'। বর্তমানে কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার রয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন রয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। একই সময়ে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ছেলে প্রিয়াঙ্ক কর্ণাটক মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। সামলাচ্ছেন তথ্য ও প্রযুক্তি দফতর।
প্রিয়াঙ্কের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বেশ দীর্ঘ। তিনি কংগ্রেসের যুব শাখা NSUI-এর মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে, তিনি NSUI কলেজের সাধারণ সম্পাদক হন, তারপরে তিনি ২০০৫ সাল পর্যন্ত NSUI রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একই সময়ে, প্রিয়াঙ্ক ২০১৩ সালে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। তিনি ২০১৮ সালেও চিত্তপুর বিধানসভা আসন থেকে জিতেছিলেন এবং ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও এখান থেকে জয়ী হয়েছেন।
একই সময়ে, প্রিয়াঙ্ক খড়গে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করলে ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো নিয়েও দাবি উঠতে শুরু করেছে। কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল মে মাসে প্রকাশিত হয়েছিল। ২২৪ টি বিধানসভা আসন সহ রাজ্যে, কংগ্রেস ১৩৫ টি আসন জিতেছে। নির্বাচনের পরে, মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য চলে বিস্তর 'নাটক'। মুখ্যমন্ত্রী পদের নাম ঘোষণা করতে কংগ্রেসকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ছাড়াই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল কংগ্রেস। এমন পরিস্থিতিতে ফলাফলের পর মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
প্রথম যে নামটি উঠেছিল তা হল সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু ডি কে শিবকুমারের দক্ষ নেতৃত্বে কংগ্রেস যেভাবে কর্ণাটকের দুর্গ জয় করেছিল, তাই মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনিও হয়ে ওঠেন যোগ্য দাবিদার। তবে, দীর্ঘ আলোচনার পর, কংগ্রেস হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেয় সিদ্দারামাইয়াকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। যেখানে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছে হয়েছে ডি কে শিবকুমারকে। দু’জনেই ২০ মে নিজ শপথ নেন।