Uttar Pradesh: একগুচ্ছ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে ভোটের তিন মাস আগে উত্তর প্রদেশে পথে নামল কংগ্রেস। সোমবার থেকে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি প্রতিজ্ঞা যাত্রা শুরু করলেন। সেই রাজ্যের বারবাঙ্কি জেলা থেকে শুরু হয় এই যাত্রা। এদিন সরকারি ভাবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পরিবারপিছু চিকিৎসার খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পাশাপাশি উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ঋণ মকুব এবং ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের পক্ষেও সওয়াল করেন নেত্রী।
এদিন হিন্দিতে ট্যুইট করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘রাজ্য সরকারের অবহেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধুঁকছে। সস্তায় ভালো চিকিৎসা প্রদানে কংগ্রেস উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় এলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ বহন করবে।‘ এখানেই শেষ নয়, সেই ট্যুইটে প্রিয়াঙ্কার প্রতিশ্রুতি, ‘বাড়িপিছু অর্ধেকে বিদ্যুৎ বিল এবং করোনার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা অর্থসাহায্য।‘
এদিকে, বছর ঘুরলেই গোবলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। উত্তরপ্রদেশ দখলে মাস্টারপ্ল্যান কংগ্রেসের। বিজেপিকে রুখতে এবার নারী শক্তিতেই ভরসা হাত-শিবিরের। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলাদের টিকিট দেবে কংগ্রেস। এমনই জানিয়েছেন রাজ্যে দলের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। একদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। অন্যদিকে, যোগী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে ক্ষমতায় ফিরতে তৎপর কংগ্রেস। ভোটের কয়েক মাস আগে লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তি বেড়েছে যোগী সরকারের। হাতে-গরম এমন জ্বলন্ত ইস্যুকে কোনওমতেই হাতছাড়া করতে চায় না কংগ্রেসও। কৃষকদের হয়ে সওয়ালে যোগী বিরোধী প্রচার তুঙ্গে তুলেছে হাত শিবির।
উত্তরপ্রদেশ দখলে এবার নারীশক্তির উপরে ভরসা রাখছে কংগ্রেস। আসন্ন নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলাদের প্রার্থী করতে চান সোনিয়া-রাহুলরা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও জানালেন সেকথাই। গত কয়েক বছরে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলাদের উপর নির্যাতনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। সেই ঘটনার উল্লেখ করে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। উত্তরপ্রদেশের মহিলারা এবার রাজ্যে বদল চাইছেন বলে সওয়াল কংগ্রেস নেত্রীর।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, “২০১৯-এ উত্তর প্রদেশে ভোটের প্রচারে এসেছিলাম। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী দেখিয়েছিলেন যে ক্যাম্পাস এবং হোস্টেলে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা নিয়ম। আমাদের এই সিদ্ধান্ত তাঁদেরই জন্য। আমাদের এই সিদ্ধান্ত সেই মহিলার জন্যও, যিনি আমাকে গঙ্গাযাত্রার সময় বলেছিলেন যে তাঁর গ্রামে কোনও স্কুল নেই।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন