আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির নজরে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রথমবার আর্থিক প্রতারণা মামলার চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কার নাম উল্লেখ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কার স্বামী স্বামী রবার্ট বঢরার নামও রয়েছে ইডির চার্জশিটে। তদন্তে জানা গেছে রবার্ট বঢরা এবং থামপি ছাড়াও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও হরিয়ানায় বেআইনি ভাবে জমি কিনেছিলেন। ইডির অভিযোগ, থামপি এবং রবার্ট বঢরার মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
হরিয়ানার ফরিদাবাদে জমি ক্রয় সংক্রান্ত মামলায় চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি। একই সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরার নামও রয়েছে ইডির চার্জশিটে। তবে চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে প্রিয়াঙ্কার নাম এবং রবার্ট নাম বঢরার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
'প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট' (পিএমএলএ) সংক্রান্ত মামলার চার্জশিটে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জানিয়েছে যে রবার্ট বঢরা এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা দিল্লির এক রিয়েল এস্টেট এজেন্টের মাধ্যমে হরিয়ানায় জমি কিনেছিলেন। এজেন্ট সেই জমিটি এনআরআই ব্যবসায়ী সিসি থামপির কাছেও বিক্রি করেন।
সিসি থামপি এবং সুমিত চাদার বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে রবার্ট বঢরা এবং থামপি ছাড়াও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও ফরিদাবাদে জমি কিনেছিলেন। সঞ্জয় ভান্ডারির ঘনিষ্ঠ থাম্পি এবং বঢরার মধ্যে আর্থিক সম্পর্কের তদন্তের সময় বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, দিল্লির এক রিয়েল এস্টেট সংস্থার মাধ্যমে তিনি হরিয়ানায় বহু জমি বেআইনিভাবে কিনেছেন বলে অভিযোগ।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে যে রবার্ট বঢরা এবং থামপির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসা করার পাশাপাশি দুজনে একসঙ্গে আরও একাধিক কাজে যুক্ত। মানি লন্ডারিং, ফরেন এক্সচেঞ্জ এবং ব্ল্যাক মানি অ্যাক্ট এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের জন্য সঞ্জয় ভান্ডারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থার ভয়ে ২০১৬ সালে ভারত থেকে পালিয়ে যান সঞ্জয় ভান্ডারি। বর্তমানে তিনি ব্রিটেনে বসবাস করছেন। তথ্য অনুযায়ী, থামপির বিরুদ্ধে ব্রিটিশ নাগরিক সুমিত চাড্ডার সঙ্গে কালো টাকা লুকিয়ে রাখতে সঞ্জয় ভান্ডারিকে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে বড় পরিবর্তন!
গত সপ্তাহে কংগ্রেসে বড় ধরনের সাংগঠনিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জায়গায় অবিনাশ পান্ডেকে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়েছে। দলের এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের দিক থেকে উত্তরপ্রদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। নির্বাচনের আর চার মাসেরও কম সময় বাকি, তা সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করেছে কংগ্রেস।