কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্তে রাহুল গান্ধী অনড় রয়েছেন এমনটাই মনে হচ্ছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে তাঁর ১২ তুঘলক লেনের বাসস্থানে পৌঁছেছেন বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা।
শুরুতে সেখানে যান রাহুলের বোন তথা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট, সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট, দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, এবং দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেণুগোপাল।
যতক্ষণ না যোগ্য উত্তরসূরী পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ সভাপতির কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন রাহুল। এ কথা প্রকাশিত হয়েছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে। রাহুলকে তাঁর মনোভাব বদল করানোর জন্য বেশ কিছু রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি হয় পদত্যাগ করেছেন বা পদত্যাগের ইচ্ছা পর্কাশ করেছেন। উদ্দেশ্য, রাহুল যাতে দল পুনর্গঠন করতে পারেন।
ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় কুমার ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন, পাঞ্জাবের সুনীল ঝাখর, আসামের রিপুন বোরা, মহারাষ্ট্রের অশোক চৌহান পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সোমবার কংগ্রেসের কোষাধ্য়ক্ষ আহমেদ প্যাটেল এবং দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেণুগোপাল রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন। রাহুল তাঁদের কাছে নিজের মত বদলের কোনও ইঙ্গিত দেননি।
গত সপ্তাহে রাহুল সিদ্ধান্ত নেন তিনি কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। কংগ্রেস কার্যকরী কমিটি তাঁর এ প্রস্তাব খারিজ করে দেয়।
রাজস্থান কংগ্রেসের টালমাটাল পরিস্থিতি এবং কর্নাটকে জেডিএস-কংগ্রেস জোটের টেনশন নিয়ে কংগ্রেস বেশ চিন্তায়। অশোক গেহলোট মন্ত্রিসভার দুজন মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিয়েছেন। অশোক গেহলোট এবং আরও দুই বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরা দলের আগে নিজের সন্তানদের জায়গা দিয়েছেন। এর পর ওই দুই মন্ত্রীর গেহলোট বিরোধিতা আরও জোর পেয়েছে।
কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের প্রধান রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এর আগে এক বিবৃততিতে ওয়ার্কিং কমিটির রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পবিত্রতা খর্ব না করার অনুরোধ জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে।
Read the Full Story in English