সোমবার কংগ্রেসের হয়ে মধ্যপ্রদেশে প্রচার শুরু করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। জব্বলপুরে তিনি এই প্রচার শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কমল নাথ-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রচারে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসংস্থানে ব্যর্থতার অভিযোগই ছিল প্রিয়াঙ্কার অভিযোগের প্রধান বিষয়বস্ত। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেস দল ও গান্ধী পরিবারকে নানাভাবে অপমান করেছেন। বিজেপি সরকারের কেলেঙ্কারির তালিকা অবশ্য তার চেয়েও দীর্ঘ। আজ বৃ্দ্ধ, আদিবাসী ও দলিতদের প্রতি নৃশংসতাও বাড়ছে। আমার আমার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণির স্বার্থে কাজ করেছেন।' প্রিয়াঙ্কার এই সব বক্তব্যের মধ্যে সোমবার তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর ছায়াই খুঁজে পেয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ
সমাবেশে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'বিজেপি সরকার গত তিন বছরে রাজ্যে মাত্র ২১টি সরকারি চাকরি দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মানুষ গত ১৮ বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিজেপি নির্বাচনের সময় বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু, সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করে না। আমি বেশ কয়েকটি ডাবল, ট্রিপল-ইঞ্জিন সরকার দেখেছি। সেসব দেখেই হিমাচল প্রদেশের মানুষ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচারের সময় বিজেপি অভিযোগ করেছিল যে কংগ্রেস মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সেসব শোনার পর কর্ণাটকের লোকেরাও তাদেরকে (বিজেপি নেতৃত্ব) উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। গত ১৮ বছর আপনাদের (মধ্যপ্রদেশবাসী) সঙ্গে যা হয়েছে, তা ভুল। আপনারা ব্যবহৃত হয়েছেন। আর, আপনাদের শোষণ করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন- কীভাবে রামলীলা ময়দান হয়ে উঠল রাজনৈতিক প্রতিবাদের মঞ্চ?
বিজেপিকে তুলোধনা
উজ্জয়নী শহরে মহাকালেশ্বর মন্দির চত্বরে স্থাপিত সপ্তঋষির পতন ইস্যুতে বিজেপিকে তুলোধনা করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'বিজেপি দেবতাদেরকেও রেহাই দেয়নি। এমনকী, পবিত্র মহাকালকেও তারা লুঠ করেছে। তারা ২৫০টি কেলেঙ্কারি করেছে। প্রতিমাসে একটি করে নতুন কেলেঙ্কারি। যার ফল জনগণ ভোগ করছে। মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকারের মন্ত্রীরা শুধুই লুঠের দিকে নজর দিয়েছেন। জনগণের মূল স্বার্থের দিকে কখনও নজর দেননি। তাঁরা মনে করেছেন যে, কখনও ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না। সম্প্রতি তারা মহিলাদের জন্য প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। কারণ, ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন। না-হলে, তিন বছর ধরে সরকার চালাচ্ছেন। আগে ঘোষণা করেননি কেন?'