রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অভিষেক নিয়ে রাহুল গান্ধীকে টার্গেট করল বিজেপি। কংগ্রেসে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর যোগদান আসলে নেতা হিসেবে রাহুলের ব্যর্থতার জন্যই, একথাই বলেছে গেরুয়াবাহিনী। এ প্রসঙ্গে রাহুলকে বিঁধতে গিয়ে পদ্মশিবির বিরোধীদের মহাজোটের প্রসঙ্গও টেনেছে। মহাজোটে কংগ্রেসের থেকে বহু দলই মুখ ফেরাচ্ছে, তাই রাহুলের অবলম্বন হিসেবে প্রিয়াঙ্কাকে রাজনীতিতে আনল কংগ্রেস, এমন ব্যাখ্যাই এদিন দিয়েছে গেরুয়াবাহিনী। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের হাত না ধরেই জোট ঘোষণা করেছে সপা-বসপা। বিহারেও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আরজেডির মতানৈক্য হতে পারে বলে খবর।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে যোগদান প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘কংগ্রেস আসলে জনসমক্ষে ঘোষণা করল যে রাহুল গান্ধী ব্যর্থ। তাই ওঁর অবলম্বন ঠিক করা হল পরিবার থেকে। মহাজোটের দলগুলি ওঁর সঙ্গ নিচ্ছে না। তাই উনি পরিবারেই জোট করতে চাইছেন।’’ সম্বিত এদিন আরও বলেছেন, লোকসভা ভোটে মোদীর লড়াইটা হবে ‘নামদার’ ও ‘কামদার’-এর মধ্যে।
আরও পড়ুন, উনিশে ভোটযুদ্ধের মুখে রাজনীতিতে হাতেখড়ি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর!
পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি নিয়েও এদিন কংগ্রেসকে নিশানা করে সম্বিত বলেন, ‘‘দলের সব নিয়োগ ওই একটা পরিবার থেকে হয়। এটাই বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য। বিজেপিতে দলই হল পরিবার।’’
বিজেপি শরিক শিরোমণি অকালি দলও এদিন প্রিয়াঙ্কার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছে। বিজেপির সুরেই এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল বলেন, কোনও রাজ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট ফ্যাক্টর কাজ করছে না। ওঁরা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছিলেন। তাই এই চাল চেলে রাহুল ও সোনিয়াজির আসন নিশ্চিত করা হল।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ পূর্বের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। লোকসভা ভোটের আগে প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক অভিষেক ঘটিয়ে বড়সড় চমক দিল কংগ্রেস।
Read the full story in English