কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথের বিরুদ্ধে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে কমিশনে নালিশ করল বিজেপি। সেই সঙ্গে মহিলা প্রার্থীকে ওই পুলিশ আধিকারিক হাত ধরে টানছেন বলে একটি ছবিও প্রকাশ করেছে বিজেপি। এছাড়া, কলকাতার পুলিশ দলের তিন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (রাজ্য বিজেপি সভাপতিও), অর্জুন সিং ও জ্যতির্ময় মাহাতকেও হেনস্থা করেছে বলে কমিশনকে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। ডিসি সাউথ আকাশ মাঘেরিয়াকে নির্বাচনী সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া ও দ্রুত বরখাস্তের দাবিও জানানো হয়েছে।
বুধবার প্রয়াত হন মগরাহাট পশ্চিমের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী মানস সাহা। ভোট পরবর্তী হিংসার বলি সে, এমনটাই দাবি পদ্ম বাহিনীর। বৃহস্পতিবার মানস সাহার দেহ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও দলীয় কর্মীরা কেওড়াতলার দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ সববাহী শকট নিয়ে বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তার দিকে যেতে চাইলে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। হাই সিকিউরিটি অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘তুম তো ঠ্যায়রে পরদেশি’, প্রচারে বিজেপির সম্বিতকে দেখেই কটাক্ষ তৃণমূলের
তবে, নাছোড় ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশি বাধা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তায় যেতে ঢুকতে গেলে গেরুয়া নেতা, কর্মীদের সঙ্গে খাঁকি উর্দি ধারীদের প্রবল ঝস্তাধস্তি হয়। একসময় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে রাস্তায় বসে পড়তেও দেখা যায়। পুলিশ তাঁরে রীতিমত টেনে হেঁচড়ে তুলে দেয়। আটকানো হয় অর্জুন সিং ও জ্যোতির্ময় মাহাতোকেও। ছিলেন ভবানীপুরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কাও। তিনিও পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান। তখনই তাঁকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে ছাবি দিয়ে দাবি বিজেপির।
যদিও বিজেপি কর্মী মানস সাহার মৃত্যু ভোট পরবর্তী হিংসায় নয়, অন্যকোনও সার্জারি করতে গিয়ে হয়েছে বলে এ দিন ভবানীপুরের প্রচারে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বিজেপির একটি ছেলের মৃত্যু হয়েছে। যেকোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। ইলেকশনের সময় ওঁর মাথায় চোট লাগলেও সেরে গিয়েছিল। তারপর অন্যকোনও সার্জারিতে হাসপাতালে ছিল, মারা গিয়েছে। আমি নবান্নে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। শুনি ওরা ডেডবডি নিয়ে আমার বাড়ির দিকে যাচ্ছে। ভাবুন কত বড় সাহস। কান মুলে দিলে সব চলে যাবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন