করোনায় অনাথ হওয়া শিশুদের ফ্রি এডুকেশন দিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন সনিয়া গান্ধী। তাঁর আবেদন, ‘রাষ্ট্রের উচিত সমাজের যারা ভবিষ্যৎ তাঁদের আশার আলো দেখানো এবং জীবনের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের পর আগলে রাখা।‘
তাঁর অনুরোধ, ‘প্রধানমন্ত্রীজি আপনি নবোদয়া বিদ্যালয়ে সেই সব শিশুদের পড়ানোর ব্যবস্থা করুন যারা অভিভাবক হারিয়েছে। কিংবা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়েছে করোনার জন্য। এভাবে যারা দুই জন অভিভাবককেই হারিয়েছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত এবং শিক্ষার কোনও নিশ্চয়তা নেই।‘
এদিকে, করোনার কারণে অনাথ শিশুদের পড়াশোনার ভার নিল দিল্লি সরকার। মঙ্গলবার এ কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। শুধু তাই নয়, সংসারের একমাত্র উপার্জনকারীর কোভিডে মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
কেজরিওয়াল বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যু হলে প্রতিমাসে সেই পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা পেনশন দেওয়া হবে। যে সব পড়ুয়ার বাবা-মা দু’জনই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তারাও আড়াই হাজার টাকা করে পেনশন পাবে তাদের ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত। তাদের পড়াশোনার খরচও চালাবে দিল্লি সরকার।‘
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ৭২ লক্ষ গরিব পরিবারকে এ মাসে ১০ কেজি রেশন বিনামূল্যে দেওয়া হবে। যার মধ্যে ৫ কেজি দেবে দিল্লি সরকার। এবং বাকি পাঁচ কেজি দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের মাধ্যমে। যে সব গরিব পরিবারের রেশন কার্ড নেই, তাঁরাও এই সুযোগ পাবেন। এমনটাই জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।