পঞ্জাবে আপ-এর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন? তা নির্বাচনের দায়িত্ব পঞ্চনদের তীরের রাজ্যের আম জনতার হাতেই তুলে দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। ফোন, হোয়াটসঅ্যাপে টেলিভোটিংয়ের মাধ্যেম হওয়া ভোটাভুটিতে জিতলেন ভগবন্ত মানই। অর্থাৎ, আসন্ন ভোটে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি জিতলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন প্রখ্যাত কমেডিয়ান-অভিনেতা তথা সাঙ্গরুরের সাংসদ এবং দলের রাজ্য সভাপতি ভগবন্ত মান। মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেছেন আপের জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
Advertisment
এ দিন কেজরিওয়াল জানান, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে টেলিভোটিংয়ে ৯৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ৪৮ বছরের ভগবান্ত মান। হাসতে হাসতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বেশ কয়েকজন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু ও তাঁকেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ভোট দিয়েছেন।
এই ঘোষণার পরই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ভগবন্ত মান, তিনি উঠে দাঁড়িয়ে কেজরিওয়ালকে জড়িয়ে ধরেন। তাঁকে চোখের জলও মুছতে দেখা যায়। তিনি বলেছেন, 'আগে যখন আমি রাজ্যবাসীর সঙ্গে তখন ওঁরা আমায় দেখে হাসত, আর এখন কাঁদে। দাবি করেন, আগের পাঞ্জাব ফিরিয়ে দেওয়ার।' মানের প্রতিশ্রুতি, 'আপ ক্ষমতায় এলে পাঞ্জাবকে ভালো জায়গা হিসাবে গড়ে তুলতে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কোনও চামচা রাজ্য শাসন করবে না। মানুষের দাবি মেনে চলবে সরকার।'
পাঞ্জাবের একজন সুপরিচিত চলচ্চিত্র এবং টিভি ব্যক্তিত্ব ভগবন্ত মান। ডিজিটাল এবং ভিডিও যুগের আগে অসংখ্য বিনোদন ক্যাসেটও বের করেছেন তিনি। ২০১১ সালে পিপলস পার্টি অফ পাঞ্জাবের (পিপিপি) হাত ধরে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। শিরোমণি আকালি দল থেকে বেরিয়ে এসে পিপিপি গঠন করেছিলেন মনপ্রীত বাদল। এই দল ২০১২ সালের বিধানসভা ভোট শতাংশের বিচারে ভালো ভোট পেলেও একটিও আসন জিততে পারেনি। এরপরই কংগ্রেসেযোগদান করেন মান।
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে সাঙ্গরুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে আপের প্রতীকে লড়াই করে ২ লক্ষের বেশি ভোটে পরাজিত করেন শক্তিশালী অকালী নেতা সুখদেব সিং ধিন্দসাকে। ২০১৯ সলের ভোটেও ওই আসন থেকে পুননির্বাচিত হন ভগবন্ত মান।
পাঞ্জাবে এবারের বিধানসভা ভোটে আপ অন্য দলগুলির কাছে ভয়ের কারণ। কিন্তু ভগবন্ত মানের নেতৃত্বে সংগঠনের সেই শক্তি মানুষের আস্থায় শাসক দল হয়ে ওঠে কিনা সেটাই এখন দেখার।