বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটে হারিয়ে শুধু পঞ্জাবই নয়, রাজ্যের বাইরেও রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন ছেলে। তাতে কি? জীবন যেমন চলছিল তেমনই চলবে। সাফ জানালেন লাভ সিং উগোর মা পেশায় একটি স্কুলের চুক্তিভিত্তিক ঝাড়ুদার বলদেব কৌর। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''ঝাড়ু আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমি স্কুলে আমার দায়িত্ব পালন করে যাব।''
'জায়ান্ট কিলার' লাভ সিং উগোক। পঞ্জাব রাজনীতিতে এখন সর্বাপেক্ষা চর্চিত নাম লাভ সিং উগোক। বছর পঁয়ত্রিশের এই মোবাইল দোকানের মালিকই এখন পঞ্জাবের নয়া স্টার। এবারের পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ভাদাউর কেন্দ্র থেকে আম আদমি পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে ভাদাউর থেকে ৩৭ হাজার ৫৫৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে রাতারাতি সুপারস্টার লাভ সিং। তাঁর এই জয় পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় এবং আশ্চর্যজনক জয় হিসেবেও বিবেচনা করা শুরু করে দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন- Special: ত্রিপুরায় জোড়া-ফুলে অশনি সঙ্কেত, দলকে হুঁশিয়ারি বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বিধায়কের
রাজনীতির ময়দানে একেবারে আনকোরা লাভ সিং। তবে খোদ বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোয় সেই আনকোরা রাজনীতিকই আম আদমি পার্টির অন্যতম স্টার নেতা বনে গিয়েছেন। ছেলের এই সাফল্যে স্বভাবতই গর্বিত মা। রাতারাতি তাঁর পরিবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেও তাঁর পা এখনও মাটিতেই রয়েছে। জীবনটা এভাবেই কাটাতে চান লাভ সিং উগোকের মা বলদেব কৌর। অকপটে বললেন, ''সরকারি স্কুলে চুক্তিভিত্তিক ঝাড়ুদারের কাজ চালিয়ে যাব। ঝাড়ু আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমি স্কুলে আমার দায়িত্ব পালন করে যাব।''
আরও পড়ুন- বালিগঞ্জ ও আসানসোল উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের
পঞ্জাবের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চান্নিকে হারানো লাভ সিংয়ের একটি মোবাইল দোকানের রয়েছে। ভোটের ঈআগে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তাঁর সম্পদ বলতে রয়েছে একটি হিরো হন্ডা বাইক। উল্টোদিকে, চান্নির ৭.৯৭ কোটির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এবং ৪ কোটি টাকার একটি বাড়ি রয়েছে।
এর আগে চান্নিকেও একবার "জায়ান্ট কিলার" বলা হয়েছিল। সেবার তিনি শিরোমণি আকালি দলের বিবি সতওয়ান্ত কৌর সান্ধুকে চমকৌর সাহেব থেকে ভোটে হারিয়েছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা চমকৌর সাহিবেও পেশায় চিকিৎসক আপ প্রার্থী চরণজিৎ সিংয়ের কাছে হেরে গিয়েছেন।
Read story in English