কম্পার্টমেন্টাল তকমা ঘুচল উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির। ৫৫ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পেলেন চম্পাওয়াত উপনির্বাচনে। ফলে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতে আর কোনও সাংবিধানিক ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হবে না তাঁকে। এ বছরের বিধানসভা নির্বাচনে খাটিমা আসন থেকে লড়াই করে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরেছিলেন ধামি।
Advertisment
উত্তরাখণ্ড ভোটে এবার রেকর্ড গড়েছিল বিজেপি। মোট ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৭টিতে জয় পেয়েছিল পদ্ম প্রার্থীরা।কিন্তু খাটিমা আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী ভুবন চন্দ্র কাপ্রির কাছে হেরে যান ধামি। কিন্তু, দল তাঁর উপরই আস্থা রাখে। তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানো হয়। ফলে দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই ধামিকে ভোটে জিতে বিধায়ক পদে ফিরে আসতে হত।
ধামিকে পথ মসৃণ করতে বিজেপি বিধায়ক কৈলাশ চন্দ্র গাহতোরি চম্পাওয়াতের বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কংগ্রেস ধামির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থী হিসাবে দলের সিনিয়র নেতা নির্মলার নাম ঘোষণা করে।
চম্পাওয়াত উপনির্বাচনের আগে, বিজেপি এবং বেশ কয়েকটি কংগ্রেস দলের নেতারাও স্বীকার করেছিলেন যে ধামির জয় কার্যত নিশ্চিত।মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন য, চম্পাওয়াতের বাসিন্দারা কেবল একজন বিধায়কই নির্বাচন করবেন না, মুখ্যমন্ত্রীকেও জেতাবেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময়, একজন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা স্বীকার করেন যে, কংগ্রেস পার্টি ধামির জন্য জয়ের ব্যবধান কমানোর দিকে মনোনিবেশ করেছিল।
উত্তরাখণ্ড গঠনের পর থেকে গত পাঁচটি নির্বাচনে চম্পাওয়াত থেকে জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। সেই শক্ত জমিতে জেতার জন্য পুষ্কর ধামিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চম্পাওয়াতে রেকর্ড জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট বার্তায় মোদী লিখেছেন, 'উত্তরাখণ্ডের উন্নয়নে ধামি আরও বেশি কাজ করবেন।'
পুষ্কর সিং ধামি জিতলেও ভাঙতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেকর্ড। গত অক্টোবরে ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জয়ী হন মমতা। ৫৮,৮৩৫ ভোটে জয়ী জেতেন মুখ্যমন্ত্রী।