টানা ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা। সোমবার রাতে দীর্ঘ জেরার পর সিবিআই দফতর ছাড়লেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। কিন্তু বেরিয়েই বোমা ফাটিয়েছেন মনীশ। বলেছেন, আম আদমি পার্টি ছাড়তে চাপ দিয়েছে সিবিআই। তার বদলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পাল্টা তীব্র বিরোধিতা করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাল্টা জানিয়েছে, আইন মাফিক এবং পেশাদার ভঙ্গিতেই জেরা হয়েছে মনীশকে।
এদিন মনীশ দাবি করেছেন, আবগারি নীতি নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এটা বিজেপির অপারেশন লোটাস-কে সফল করার জন্য চাপের রাজনীতির উদাহরণ। সিবিআই জানিয়েছে, সিসোদিয়ার বক্তব্য খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তের প্রয়োজনে পরবর্তীতে আরও পদক্ষেপ করা হবে।
এর আগে সোমবার ১১৯ জন আপ নেতা যার মধ্যে সাংসদ সঞ্জয় সিং-সহ ১৬ জন বিধায়ককে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তাঁরা দিল্লিতে সিবিআই সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, আইন অমান্যের জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও জমায়েত করা হয়েছে।
আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ভুয়ো বলে দাবি করেছেন। বলেছেন, মঙ্গলবার গুজরাট সফরে যাবেন সিসোদিয়া। সেখানে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে বের হন সিসোদিয়া। সিসোদিয়ার বিস্ফোরক দাবি, অসাংবিধানিক উপায়ে চাপের রাজনীতি চলছে।
আরও পড়ুন কেন্দ্রের অনুমোদনেই বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি, সুপ্রিম কোর্টে জানাল গুজরাট সরকার
সিসোদিয়া এদিন দাবি করেছেন, "আবগারি নীতি নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছিল। কিন্তু অবাক হলাম যে আমাকে আপ ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হল। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন! বলা হয়, না হলে আমার বিরুদ্ধে আরও মামলা হবে। আমাকে এও বলা হয়, সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধেও অনেক মামলা করা হচ্ছে। যদি তিনি ৬ মাস জেলে থাকতে পারেন, তাহলে আমিও ৬ মাস জেলে থাকব।"
পাল্টা সিবিআই বলেছে, 'মিডিয়ার একাংশ একটি ভিডিও সম্প্রচার করেছে যেখানে শ্রী মনীশ সিসোদিয়া সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে ক্যামেরার সামনে বলছেন, তাঁকে দল ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই তীব্র বিরোধিতা করছে এই অভিযোগের। সিসোদিয়াকে জেরা করা হয়েছে পেশাদার ও আইন মোতাবেক। এফআইআরে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে সেটার উপর তদন্ত হচ্ছে। আইন অনুযায়ী, তদন্ত চলবে।'