সুপ্রিম কোর্ট ২০১৯ সালের একটি মন্তব্যের জেরে মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করার গুজরাত হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস শিবিরের কার্যতই খুশির হাওয়া। উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস শুক্রবার কোনরকম বিলম্ব ছাড়াই লোকসভার সাংসদ হিসাবে তাকে পুনর্বহাল করার আহ্বান জানিয়েছে এবং শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্র এবং সংবিধানের জয় বলেও উল্লেখ করেছে।
সুরাটের একটি আদালত রাহুল গান্ধীকে মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। এখন কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম আদেশের পরও সাংসদ পদ ফেরাতে বিলম্ব কেন? যদিও সূত্রের খবর সোমবার রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে স্পীকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী শনিবার লোকসভা সচিবালয়ের আদালতের আদেশের প্রতিলিপি এবং রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে একটি চিঠি জমা দিয়েছেন।সেই সঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, যত দ্রুত রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে সেই তৎপরতায় তাকে সংসদে পুনর্বহাল করা হচ্ছে না।
লোকসভা সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে কংগ্রেস আদালতের আদেশ ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছে। যেহেতু স্পিকার ওম বিড়লার রবিবার দিল্লির বাইরে ভ্রমণ করার কথা রয়েছে, সোমবার তিনি সাংসদ পদ ফিরিয়ে আনার "অনুরোধ বিবেচনা করবেন"। কংগ্রেস চাইছে মণিপুর ইস্যুতে বিরোধী জোটের তরফে আনা অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিন রাহুল। আগামী ৮ অগাস্ট সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পরপরই, অধীর চৌধুরী লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। স্পিকার জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট থেকে আদেশ হাতে পেলেই তিনি এই বিষয়ে বিবেচনা করবেন। এবিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধির চৌধুরি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমি নিয়ম অনুযায়ী যা যা প্রয়োজন তাই তাই করেছি, আমার দলের তরফ থেকে...! যে গতিতে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছিল...ঠিক সেই গতিতেই তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত"।