রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল সংরক্ষণ বিল। এদিন সংসদের উচ্চতর কক্ষে ভোটাভুটিতে এই বিল পাশ হয়।
রাজ্যসভায় ১৬৫ ভোটে পাশ হল সংবিধান (১২৪ তম সংশোধনী) বিল। এই বিলের সুবাদে সাধারণ শ্রেণির অন্তর্গত আর্থিকভাবে দুর্বলরা সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন।
হিসেব মতো মঙ্গলবারই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ছিল। লোকসভার অধিবেশন শেষও হয়ে গেছে যথা দিনেই। কিন্তু রাজ্যসভার অধিবেশনের মেয়াদ এক দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সংরক্ষণ বিল এবং তিন তালাক বিল যাতে পাশ করানো যায় সেই উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন, মিথ্যা প্রচারের মুখের মত জবাব সংরক্ষণ বিল: প্রধানমন্ত্রী
রাজ্যসভায় এই বিল নিয়ে এদিন তুমুল তর্কবিতর্ক চলে। বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবিও হয়ে যায় অধিবেশন। বিরোধীদের মূল অভিযোগ ছিল এই বিল একটি রাজনৈতিক গিমিক। লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই বিল আনা হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন তাঁরা।
কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা বলেন, "আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগে তড়িঘড়ি করে এই বিল আনা হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে বিরোধীদেের সঙ্গে সরকারের কোনও আলোচনার অবকাশই নেই।"
সিপিএম সাংসদ ডি রাজা বলেন, "৭ তারিখ বিলে সই করা হয়েছে, ৮ তারিখ খশড়া বিল পাশ হয়েছে, ৯ তারিখ আমরা এ নিয়ে আলোচনা করছি। এ সবের উদ্দেশ্য হল সংবিধানকে খাটো করা।"
এর মধ্যে এদিনের আলোচনায় বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন।
সংবাদসংস্থা এএনআই কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলকে উদ্ধৃত করেছে। সিব্বল বলেছেন, "আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের যে প্রস্তাব মণ্ডল কমিশনে ছিল শীর্ষ আদালত তা অসাংবিধানিক বলে খারিজ করে দিয়েছিল। ৯ জন বিচারপতির বেঞ্চ যদি একে অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দেয়, তারপরেও ফের কীভাবে আপনাারা সংবিধান সংশোধন করতে পারেন?"