রবিরঞ্জন Exclusive: "কলকাতা থেকে চাপিয়ে দিলে কী দল হয়?"

সাতসকালে টুইট করে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন না।

সাতসকালে টুইট করে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়

সাতসকালে টুইট করে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন না। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়ে সেকথা অবগত করেছেন রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। শুধু ভোটে দাঁড়ানো নয় তিনি আর রাজনীতিই করবেন না বলে জানিয়েছেন। ছেড়ে দেবেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান পদও। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে নিজের আক্ষেপের কথা জানালেন প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক।

Advertisment

এখন তৃণমূলের অবস্থা কেমন? ভোটে তো দাঁড়াবেন না…


বর্ধমান তো সিপিএমের জায়গা ছিল। ২০১১ ও ২০১৬-তে আমি প্রথম ব্যক্তি যে পরপর দুবার প্রথম জাতীয়তাবাদী প্রার্থী হয়ে জয় পেয়েছি। তার আগে জাতীয়তাবাদী কোনও দল পরপর দুবার জেতেনি। ফলে বর্ধমানের অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক করেছি। আমার এখনও মনে হয় তৃণমূলের অনুকূলেই আছে। কিন্তু আমাদের দলের নেতা-নেত্রীদের একাংশ দলের কথা ভাবে না, দেশের কথাও ভাবে না। ব্যক্তি স্বার্থটাই বেশি ভাবে। তার জন্য এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এত দলাদলি। আর কিছু প্রবীণ নেতা আছেন যাঁরা আমাকে এড়িয়ে চলেন। তাও আমি কিছু মনে করি না। আমি আমার কাজ করে গিয়েছি। বর্ধমানে উন্নয়ন করে গিয়েছি। সাধারণ মানুষের কোনও অভাব অভিযোগ নেই। তাঁরা খুব সন্তুষ্ট। এগুলো চলছে কী আর করব। তবে এই কারণে আমার পদত্যাগ নয় বা সরে আসা নয়। আমি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছি না আমার বয়সের কথা ভেবে, শরীরের কথা ভেবে। রাজনীতি আর ভাল লাগছে না। সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

দলনেত্রীর সঙ্গে এসব নিয়ে কখনও কথা হয়েছে?

Advertisment

মমতার সঙ্গে কথা হয়নি। ওঁরাও আমার সম্পর্কে আগ্রহী বলেও মনে হয় না। ১০ বছর রইলাম। কেউ তো আমাকে ডেকে কিছু বলেনি। আমার রাজনীতিটা তো আর ক্যারিয়ার নয়।

দলে কাদা ছোড়াছুঁড়ি চলছে..

সে তো চলছেই। আমি এই মানসিকতার লোক নেই। অনেকবার বারন করেছি। সকলকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছি। কেউ যদি ব্যক্তি স্বার্থ নিয়ে থাকে তো কোনও দিনই দেশের কিছু করতে পারবে না। রাজনীতিতেও কিছু করতে পারবে না।

এতে তৃণমূলের ক্ষতি হচ্ছে তো...

ক্ষতি হচ্ছে তো। এদের জন্যই হচ্ছে। এটা যদি দল না বোঝে তাহলে কী হবে। আইনুল হককে আমি ২৯ হাজার ভোটে হরিয়েছি। সে এখন নেতা।

শীর্ষ নেতৃত্বকে কখনও কিছু বলেননি?

আমি কখনও কলকাতার কাউকে বলিনি। সে সম্পর্কে কেউ কোনও কথাবার্তাও বলেনি। বর্ধমানের নেতৃত্বকে বলেছি।

এতে তো দলে খারাপ হচ্ছে..

জেলার লোকেদের কথা ভাবতে হবে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কলকাতা থেকে চাপিয়ে দিলে কী দল হয়?

বর্ধমানে উন্নয়ন হয়েছে..

বর্ধমানে যথেষ্ট কাজ করেছি। আগের বর্ধমান আর এখনকার বর্ধমানের অনেক তফাত। সাধারণ মানুষ আমাকে খুব ভালবাসে। আমার আর দাঁড়ানোর ইচ্ছা নেই।

২০১৬-তে লড়াই কঠিন ছিল..

২০১৬ সালে আমার বিরুদ্ধে দলের লোক দাঁড়িয়ে গিয়ে ১৭ হাজার ভোট কেটেছে। তাও ২৯ হাজার ভোটে জিতেছি। তবু কোনও মর্যাদা কী পেয়েছি?

পরের বার তো আপনি মন্তীত্বও পাননি..

শিক্ষামন্ত্রী বা মন্ত্রীত্ব দূরের কথা একটা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানও হইনি।

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় আপনি চেয়ারম্যান..

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা যথেষ্ট কাজ করেছে। রাস্তাঘাট, সেতু, সৌন্দার্যয়ন, পার্কিং, সর্বত্র উন্নয়ন হয়েছে। তার স্বীকৃতি হল কোথায়? উন্নয়ন সংস্থাও ছেড়ে দেব। রাজনীতি আর করব না

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন