রবিবার রাফেল চুক্তি নিয়ে মুখ খুললেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। রাফেল চুক্তিকে বোফর্স কেলেঙ্কারির থেকেও বড় বলে অভিহিত করলেন তিনি। তাঁর মতে, দেশের রাজনীতিতে কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধীর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে কেননা একমাত্র রাহুল গান্ধীই এই সমস্ত বিষয়গুলোয় সবার সামনে আনেন। বাকি সব দলের রাজনৈতিক নেতারা নীরবতাই বজায় রেখেছেন। শিবসেনা মুখপত্র 'সামনা'-তে সঞ্জয় লেখেন, "যাঁরা একদিন সোনিয়া গান্ধীর পরিবারকে ৬৫ কোটি টাকার জন্য কাঠগডায় দাঁড় করাতেন তাঁদের প্রত্যেকে আজ ক্ষমতায়। আর তাঁদের প্রায় সকলেই রাফেল জেট চুক্তিতে ৭০০ কোটি টাকা হাতিয়েছেন।"
বিজেপিকে একহাত নিয়ে এদিন রাউত বলেন, রাফেল চুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক মম্তব্যের জন্য প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদকে হয় রাহুল গান্ধীর সমর্থক, নয়তো জাতীয়তাবিরোধী বলে অভিহিত করা উচিৎ। শিবসেনা সাংসদ আরও বলেন, "প্রশ্ন এটা নয় যে অনিল আম্বানির সংস্থাকে রাফেল জেটের চুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ইউপিএ ৫২৭ কোটি টাকায় রাফেল চুক্তি চূড়ান্ত করেছিল, সেখানে মোদী সরকার সেটাকে ১৫৭০ কোটি টাকার করেছে। প্রশ্নটা এটাই, যে তার মানে ১০০০ কোটি টাকা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে যাবে?"
আরও পড়ুন, দাড়িভিটে মৃতদের পরিবার এবার রাষ্ট্রপতির দরবারে
পাকিস্তানকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর যে বক্তব্য নিয়ে বিজেপির অভিযোগ ছিল, সেটাকেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সঞ্জয়। তিনি আরও যোগ করেন, বিজেপিও বোফর্স নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিল, এবং সেটাও ওই পাকিস্তানকে সাহায্য করার মতো বিষয়েই। শিবসেনা সাংসদ বলেন, ''ওলাঁদ যদি রাহুল গান্ধীকে নিয়ে কথা না বলতেন, তাহলে এতদিনে কংগ্রেসের এই নেতাকে পাগল আখ্যা দেওয়া হয়ে যেত। যেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দল চুপ করে আছে, সেখানে রাহুল গান্ধী এই সব বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছেন। আর সঙ্গত কারণেই জাতীয় রাজনীতিতে ধীরে ধীরে গুরুত্ব পাচ্ছেন।" তিনি যোগ করেন, ''রাফেল ইস্যু এখনই ধামাচাপা পড়বে না। এটা বোফর্স কেলেঙ্কারিরও বাবা।"