দেশ জুড়ে কৃষিঋণ মুকুব না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদীকে শান্তিতে ঘুমাতে দেব না। আর শেষ পর্যন্ত যদি তিনি ঋণ মুকুব না করেন, সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেই কৃষিঋণ মুকুব করবে। মঙ্গলবার কৃষিঋণ, রাফাল এবং বিমুদ্রাকরণ ইস্যুতে লোকসভা উত্তাল করার পর সংসদের বাইরে এই ভাষাতেই নমোকে নিশানা করলেন রাগা। এদিন রাহুল গান্ধীর আক্রমণের ঝাঁঝ দেখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ মনে করছে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেল উচ্চগ্রামে।
রাহুলের দাবি, চূড়ান্ত ধনী এবং গরিব- এই দুই অংশে দেশকে ভাগ করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এরপরই তিনি বলেন, “ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকার এক টাকাও মুকুব করেনি। অথচ নির্বাচনের আগে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম কৃষিঋণ মুকুব করব এবং ক্ষমতায় আসার ছয় ঘণ্টার মধ্যে দুই রাজ্যে তা করে দিয়েছি। শুধু রাজস্থানের ক্ষেত্রে বাকি রয়েছে, সেখানেও খুব দ্রুত এ কাজ হয়ে যাবে”। উল্লেখ্য, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েই কমলনাথ এবং ভূপেশ বাঘেল যথাক্রমে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ের কৃষিঋণ মুকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর প্রতিশ্রুতি পূরণের সেই খবর টুইট করে জানিয়েছেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন- বাঘেল আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রী?
রাহুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদী অনিল আম্বানি-সহ দেশের ১৫ জন শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কথা এতই ভাবেন যে, তাঁদের ঋণের বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রয়েছেন। আর দেশের দরিদ্র কৃষকদের দুঃখ, বেদনার কথা ভাবার সময়ই পাচ্ছেন না তিনি।
রাফাল নিয়েও এদিন মোদীকে বিঁধতে ছাড়েননি কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেছেন, “এবার সর্বক্ষেত্রেই টাইপো ভুল সামনে চলে আসবে। রাফাল চুক্তির মূল্যায়নে আমরা যৌথ সংসদীয় কমিটি চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার রাজি হচ্ছে না”।
Read the full story in English