মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে লোকসভায় বিতর্কে বুধবার বিরোধী দলগুলি সংরক্ষণের মধ্যে সংরক্ষণের দাবিতে অনড় রইল। কংগ্রেস পার্টির হয়ে এই বিতর্কের সূচনা করে সনিয়া গান্ধী, 'তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং ওবিসি মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে জাতশুমারির ওপর জোর দেন।' শিরোমণি অকালি দলের নেতা হরসিমরত কউর বাদল মহিলা সংরক্ষণ বিল কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই বিলকে ধোঁকাবাজি বলে কটাক্ষ করেন।
এআইএমআইএম সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বিলটির বিরোধিতা করেছেন। তিনি এই বিলকে 'মুসলিম-বিরোধী' বলে তোপ দেগেছেন। এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেও প্রশ্ন তুলেছেন, 'কেন ওবিসি মহিলাদের সংরক্ষণের কথা বিলে বলা নেই?' তিনি বিলটি সংশোধনের আহ্বান জানান। বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
রাহুল গান্ধীর বক্তব্য:- * এই বিলটিকে অসম্পূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। এই বিলে ওবিসিদের সংরক্ষণ যুক্ত করা উচিত ছিল। ভারতের জনসংখ্যার একটা বড় অংশই হল ওবিসি। তাই, ওবিসি মহিলাদের সংরক্ষণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
সরকার জাতিগত জনগণনার মত ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে। যখনই বিরোধীরা জাতিগত জনগণনা ইস্যু তুলে আনেন, তখনই সরকার কিছু না-কিছু করে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চালায়।
সংসদের উদ্বোধনের দিন দেশের মহিলা ও আদিবাসী রাষ্ট্রপতিই ছিলেন অনুপস্থিত।
এই বিল কার্যকর করার জন্য জনগণনা এবং আসন পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন নেই।
সরকার এই বিল পেশ করেছে আদানি ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর জন্যও।
অমিত শাহর বক্তব্য:- * মহিলা সংরক্ষণকে সমর্থন না করলে কি ওবিসি আর মুসলিম সংরক্ষণ তাড়াতাড়ি হবে? বরং, সমর্থন করলেই হবে, এটা নিশ্চিত।
সাংসদরা বর্তমানে সাধারণ, তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি- এই তিনটি বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা এর প্রত্যেকটিতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত করেছি।
নারী ক্ষমতায়ন কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। এটা গৃহীত হওয়ার ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী মোদীর শপথ নেওয়ার পর থেকে মহিলাদের নিরাপত্তা, সম্মান, সমান অংশগ্রহণ সরকারের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।
মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস হলে নতুন যুগের সূচনা হবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী জি২০-তে মহিলাদের নেতৃত্বে কীভাবে অগ্রগতি ঘটবে, সেই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।