মঙ্গলবার মাঝরাতে সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মার অপসারণ নিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক বিরোধী নেতা। বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী বললেন, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাফালে কেলেঙ্কারি ধামা চাপা দিতে। রাহুল বলেন, "যে মুহূর্তে রাফালে চুক্তি নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু করল, তখনই সরিয়ে দেওয়া হল শীর্ষ আধিকারিককে"।
দিল্লির সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বললেন, "মোদী জানতেন, রাফালে চুক্তির তদন্ত শুরু হলেই তাঁর দিন ঘনিয়ে আসবে। তিনি যে দুর্নীতিতে মদত দিয়েছেন, সকলের সামনে চলে আসবে সেই সত্যিটা। তাই প্রমাণ লোপাট করতে রাতারাতি সরিয়ে নেওয়া হল অলোক ভার্মাকে"। কংগ্রেস সভাপতি সাংবাদিকদের কাছে উল্লেখ করেন, " কমিটির সদস্য হওয়া সত্তেও প্রধান বিচারপতি এবং বিরোধী নেতাকে এড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা ভারতীয় সংবিধানের পক্ষে অসম্মানজনক"।
আরও পড়ুন, সিবিআই-এর রদবদল প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি মল্লিকার্জুন খাড়গের
"কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টরের নিয়োগ এবং অপসারণ করতে পারে তিন সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটি। সদস্যরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী। রাত ২ টোর সময় প্রধানমন্ত্রীর একার সিদ্ধান্তে ক্ষমতায় রদবদলের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অপরাধমূলক"।
প্রসঙ্গত, সিবিআই-এর ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার বৈধতা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি দিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে খাড়গে লিখেছেন, সিবিআই ডিরেক্টরকে অপসারণের ক্ষমতা যেমন কেন্দ্রের হাতে নেই, তেমনই পরবর্তী ডিরেক্টরের নাম প্রস্তাব করার অধিকার সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিটির নেই। মঈন কুরেশি মামলায় সিবিআই-এর এক এবং দু’ নম্বরে থাকা অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানা, দুই আধিকারিককেই দায়িত্ব থেকে অপসারিত করে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।