রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে আবারও চড়া সুরে মোদীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। রাফাল নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের দাবি জানালেন রাহুল। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর সমান্তরাল ভাবে দরাদরি চালিয়েছেন। রাফাল ফাইলে একথা সাফ লেখা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। আদালতের কাজ বিচার করা। তাহলে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত নয়?’’
এরপরই রাগা বলেন, ‘‘রাফাল ফাইল গায়েব হয়েছে বলে মিডিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু যিনি ৩০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত, তাঁর বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হবে না?’’
![]()
আরও পড়ুন, রক্ষা মন্ত্রক থেকে চুরি হয়েছে রাফাল নথি: কেন্দ্র, শুনানি স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে
এ প্রসঙ্গে মোদীকে নিশানা করে রাহুল আরও বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে রাফাল ফাইল গায়েব হয়েছে বলা হচ্ছে। কাগজ গায়েব হয়েছে মানে, এটা সত্য ছিল। কোনও ভুয়ো কাগজ ছিল না। তার মানে আপনারাই বলছেন সঠিক তথ্য ছিল।’’ তদন্তের কথা প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘‘যদি প্রধানমন্ত্রী নির্দোষ হন, তাহলে কেন উনি নিজে তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন না? কেন জেপিসি করা হচ্ছে না? উনি বলুন, যে আমি চৌকিদার, চুরি করিনি, তদন্ত করুন। একথা কেন বলছেন না?’’
এরপরই রাহুল বলেন, ‘‘ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলে কি তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত হবে না? আসলে সরকারের একটাই কাজ চৌকিদারকে বাঁচানো।’’
রাফাল নিয়ে রাহুল আরও বলেন, ‘‘ফাইলে সাফ লেখা রয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদী বাইপাস সার্জারি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর সমান্তরাল ভাবে দরাদরি করেছে। একথা সকলে বলেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন যে, মোদী তাঁকে বলেছেন, অনিল অম্বানি বরাত পাবেন। রাফাল ডেলিভারি করতে দেরি হয়েছে কারণ অনিল অম্বানিকে বরাত দেওয়া হয়েছে।’’মোদী সরকারকে বিঁধে রাজীব পুত্র বলেন, ‘‘কৃষকদের আয় বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি গায়েব, রাফাল ফাইল গায়েব, সব গায়েব। গায়েব করা সরকারের কাজ’’
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের হয়ে বুধবার আদালতে সওয়াল করতে এসে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত নথি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে চুরি হয়ে গেছে এবং সে চুরির তদন্ত চলছে। তাঁর সওয়াল, রাফাল চুক্তি নিয়ে আবেদনকারীরা যে নথির উপর ভিত্তি করে রয়েছেন, তা গোপন ও গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনকারী।