আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে বিঁধলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দলিত ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্পর্কে রাহুল বলেন, উনি শুধু নিজেকে এবং নিজের প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়েই ব্যস্ত। দেশের মহিলারা যে নির্যাতিত হচ্ছেন, দলিত শ্রেণির মানুষদের ক্রমাগত মৃত্যুপথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, দেশজুড়ে জ্বলছে ভয়াবহ আগুন অথচ ওঁর কোনও হুঁশই নেই। তালকাটোরা স্টেডিয়ামে কংগ্রেসের ‘সেভ দ্য কনস্টিটিউশন’ ক্যাম্পেনে তিনি আরও বলেন, ‘‘ তাঁর ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু জুড়ে শুধু একটিই বিষয় থাকে এবং তা হল কীভাবে তিনি নিজের প্রধানমন্ত্রীত্ব পদটি বজায় রাখবেন।"
নীরব মোদি ইস্যুতেও এদিন মোদিকে আক্রমণ করেন রাহুল। তিনি বলেন যে, নীরব মোদি, ললিত মোদি, বিজয় মালিয়া ইস্যুতে কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে চান না মোদি। সেকারণেই তাঁর সরকার সংসদ চালাতে দেয়নি। এই প্রথমবার কোনও সরকার স্বয়ং সংসদ অচল করেছে বলেও এদিন মন্তব্য করেন রাহুল। মোদির ‘মন কি বাত’-কে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন যে, মোদি নিজে কাউকে কথা বলতে দিতে চান না, শুধুই নিজের ‘মন কি বাত’ শোনাতে চান। কিছুদিন আগেই সংসদের বাজেট অধিবেশন ভেস্তে যাওয়া প্রসঙ্গে বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুলেছে মোদি সরকার। এমনকি সংসদকে অচল করার প্রতিবাদে একদিনের অনশনেও বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা।
আরও পড়ুন, মোদিকে ‘মৌন বাবা’ বলে কটাক্ষ শিব সেনার মুখপত্র ‘সামনা’-তে
কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়েও এদিন মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাহুল। কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘‘বেটিদের কার থেকে বাঁচাবে? এই শ্লোগানের মূল অর্থ হল মেয়েদের বিজেপির থেকে, বিজেপির বিধায়কের থেকে বাঁচাও।’’ তিনি আরও বলেন যে, যেখানেই বিজেপি কর্মীরা দলিত, সংখ্যালঘু, তফশিলি জাতির মানুষ ও মহিলাদের উপর হামলা করবে, সেখানে কংগ্রেস কর্মীরা তা প্রতিহত করবে।
আরও পড়ুন, INDIAN EXPRESS EXCLUSIVE: মৌন মোদিকে নিয়ে সরব মনমোহন
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনায় দেশের মেয়েদের সুরক্ষা নিয়ে মোদিকে পরামর্শ দিয়েছেন আইএমএফ প্রধান। সে প্রসঙ্গে রাহুল নাম না করে বলেন যে, দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক মঞ্চের কোনও প্রতিনিধি নারী সুরক্ষা নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন, এমনটা আগে কখনও হয়নি।
আরও পড়ুন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট, বিচারব্যবস্থার পক্ষে কালো দিনঃ নরিম্যান
মোদির পাশাপাশি, দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন রাহুল। জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দেশের ৪ বর্ষীয়ান বিচারপতি যেভাবে সরব হয়েছিলেন, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেন যে, বিচারের জন্য বিচারপতিদের কাছে সাধারণ মানুষ যান। কিন্তু এই প্রথমবার বিচারপতিরাই বিচার চাইছেন। তাঁর মতে, সুপ্রিম কোর্ট পদদলিত হচ্ছে।