ঘৃণা, বিভাজন এবং হিংসার শক্তি সংবিধানকে পদদলিত করছে। ভারতের মানুষ চাইছেন ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস ও তার সহযোগী শক্তি নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসুক। কংগ্রেসের সংসদীয় দলের সভায় এ কথা বললেন দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী এদিন বলেছেন, ‘‘ভারতের মানুষ মোদী সরকারকে সরানোর ব্যাপারে সাহায্যের জন্য কংগ্রেস ও তার সহযোগী পার্টিগুলির দিকে তাকিয়ে আছেন, তাঁরা এমন সরকার চান, যে সরকারে তাঁদের কথা শুনবে, তাঁদের সমস্যা বুঝবে এবং দেশের দারিদ্র্য, বেকারি ও অসাম্য কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে।’’ তাঁর দাবি, ভারতের কৃষক ও যুবসমাজের মধ্যে আশা বাঁচিয়ে তুলতে, তাঁদের সম্মানজনক জীবন ও ভদ্রস্থ আয়ের ব্যবস্থা করতে পারে কংগ্রেসই। রাহুল এদিন বলেন, ‘‘ঘৃণা, বিভাজন এবং হিংসার শক্তি, যারা সংবিধানকে পদদলিত করছে, তারা যাতে ক্ষমতায় ফিরতে না পারে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী সরকারের অধীনে ভারতের শাসন সংকট দেখা দিয়েছে- দুর্নীতি, সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যর্থতা, অযোগ্যতা এবং সামাজিক বিভাজন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্তমান শাসনের বিরুদ্ধে ক্রোধের জোয়ার দেখা দিয়েছে, মোদীজির ’আচ্ছে দিন’-এর মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বিকল্প দেশের মানুষের প্রাপ্য। তাঁদেরকে সে বিকল্প দেওয়ার জন্য আমাদের সকলকে একযোগে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’’
বিজেপি এবং আরএসএস দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রাহুল। ‘‘আরএসএস এবং বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা দেখছি আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের উপর হিসেব করে হামলা করা হচ্ছে। আধুনিক ভারতে এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে গণতন্ত্রের মন্দির বলে অভিহিত করা হত, এবং আজ আর এস এস সেগুলিকে এক এক করে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে।’’
আরও পড়ুন, চাকরি কই? প্রশ্ন তুললেন নিতিন গড়করি
রাহুল বলেছেন, ‘‘২০১৪ সালে মোদীজি ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন, স্বাধীনতার পর ৭০ বছর ধরে ভারত শ্লো প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছিল, এবার তাঁর নেতৃত্বে দেশ ঝকঝকে জাদু ট্রেন হয়ে উঠবে এবং আচ্ছে দিনের দিকে এগিয়ে যাবে। মোদী শাসনের চার বছর পর, অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে মনে হচ্ছে ভারত এমন এক ট্রেন যাক চালাচ্ছে একজন স্বৈরাচারী, অযোগ্য, অহংকারী ড্রাইভার, এবং যে ট্রেন এগিয়ে চলেছে বিপর্যয়ের দিকে, অথচ সে ড্রাইভার তার যাত্রীদের পরিণতি কী হবে, তার পরোয়াই করছে না।’’