কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শনিবার ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে একটি জনসভায় ঘোষণা করেছেন যে তাঁর দল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতলে এবং ছত্তিশগড়ের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হলে দুই ঘণ্টার মধ্যে জাতিশুমারির ঘোষণা করা হবে। এর আগে রাহুল গান্ধী সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শিক্ষার একটি নতুন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। সেখানে, তিনি 'কেজি থেকে পিজি', অর্থাৎ কিন্ডারগার্টেন থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত ছত্তিশগড়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে শিক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাহুল ২০১৮ সালে ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেসের দেওয়া তিনটি প্রতিশ্রুতির তালিকা দিয়ে তাঁর বক্তৃতা শুরু করেছিলেন। বক্তৃতায় জানান, নির্বাচনে জয়ের পর কীভাবে সেই সব প্রতিশ্রুতি কংগ্রেসের সরকার পূরণ করেছিল। ধান সংগ্রহ সম্পর্কে রাহুল গান্ধী বলেছেন, সেটা কংগ্রেসের জন্য একটি বড় সাফল্য। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের সরকার এলে এই ধান সংগ্রহের হার বাড়তে পারে। শুধু একথা বলাই নয়। রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জাতশুমারি করার আহ্বান জানিয়েছেন। সঙ্গে, 'দরিদ্র ও অনগ্রসর লোকদেরকে সাহায্য করার জন্য শিল্পপতিদের বেছে নেওয়ার', তাঁদের ওপর দায়িত্ব দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে রাহুল বলেন, 'যে কোনও সরকারি কাজ দুইভাবে করা যেতে পারে। একটি হল, রাজ্যের ধনী ব্যক্তিদের সাহায্য করা। আর, দ্বিতীয়টি হল রাজ্যের দরিদ্র লোকদের সাহায্য করা। আমরা দরিদ্র, শ্রমিক, কৃষক, বেকার, আদিবাসী, দলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষকে সাহায্য করি। আর ওদের (বিজেপির) সরকার বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়। আর, শেষে গিয়ে আদানিজিকে সাহায্য করে। বাঘেল জি যেমন বলেছিলেন, খনি, বিমানবন্দর, বন্দর আদানিকে দেওয়া হয়েছে। আদানিকে সাহায্য করার জন্য খামার আইন করা হয়েছিল। হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের আপেল ব্যবসা আদানিকে দেওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন- Adani-র বন্দর ব্যবসায় রকেট গতি…! ১০ বছরের অঙ্ক চমকে দেবে
দেশের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে কংগ্রেস সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার প্রসঙ্গ টেনে রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমরা জানি যে, দেশের দরিদ্র এবং দুর্বল অংশগুলিকে সাহায্য না-করা পর্যন্ত এই দেশ দাঁড়াতে বা উন্নতি করতে পারে না। কৃষকদের দেওয়া অর্থ বাজারে আসে এবং গ্রাম ও ছোট শহরকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করে। কিন্তু, তাঁদের কাছে চলে যাওয়া অর্থ শিল্পপতিরা বিদেশে সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যয় করেন।'