প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার সকালে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় মা মেলান। কংগ্রেসের তরফে এই 'ভারত জোড়ো' যাত্রাকে ‘ব্যাপক জনসংযোগ অভিযান’ হিসাবে বর্ণনা করছে এবং নেতা-কর্মীদের আশা এই যাত্রা সংগঠনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সহ ১১৯ জন নেতা "ভারত যাত্রী" হিসাবে নাম দিয়েছেন। যারা এই পদযাত্রায় কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর মোট ৩,৫৭০ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করবেন।
সনিয়া বললেন- পরিবর্তনের মুহূর্ত
কংগ্রেস বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে কন্যাকুমারী থেকে 'ভারত জোড়' যাত্রা শুরু করেছে। এই উপলক্ষে, দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এই যাত্রা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “এই সফর ভারতীয় রাজনীতির জন্য একটি পরিবর্তনের সূচনা করবে । এবং এটি কংগ্রেসের জন্য একটি জীবনরেখা হিসাবে কাজ করবে। যাত্রা শুরুর আগে, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে নিশানা করে তিনি বলেন, “লক্ষ লক্ষ মানুষ মনে করেন যে এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার যা ভারতকে একত্রিত করবে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই আরএসএস এবং বিজেপির আক্রমণের মুখে। তারা মনে করে, ধর্মের ভিত্তিতে ভারতকে ভাগ করতে পারে।”
আরও পড়ুন: < নতুন কর্মসংস্থান এবং সম্পদের সুষম বন্টনেই নজর মোদী সরকারের, স্পষ্ট জানালেন নির্মলা সীতারামন >
তিনি বলেন, “তিরঙ্গা শুধু তিন রঙের এবং এক টুকরো কাপড়ে একটি চক্র মাত্র নয়। এটা তার চেয়ে অনেক বেশি। তিরঙ্গা ভারতের সকল ধর্ম ও সংস্কৃতির লোকদের আন্দোলনের দ্বারা অর্জিত হয়েছিল। আমাদের তিরঙ্গা পছন্দসই যে কোনও ধর্ম পালনের অধিকারের স্বাধীনতা দেয়। কিন্তু, আজ এই পতাকা আক্রমণের মুখে পড়েছে।”
বুধবার, রাহুল গান্ধী 'ভারত জোড়ো যাত্রা' শুরু করার আগে শ্রীপেরামবুদুরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্মৃতিসৌধে একটি প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়েছিলেন। এখানেই তিন দশক আগে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন রাজীব গান্ধী। বাবার স্মৃতিসৌধে আয়োজিত একটি প্রার্থনা সভায় যোগদানের পরে, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি কন্যাকুমারীতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন যেখানে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন তাকে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন।
দলের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ গত সপ্তাহেই জানিয়েছেন, এই মিছিল ১২টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘুরবে। এটি প্রায় ৩,৫৭০ কিমি দীর্ঘ পথ প্রায় ১৫০ দিনে অতিক্রম করবে।