বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের বিবৃতিতে সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস। কাশ্মীর নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর জবাবদিহি দাবি করলেন রাহুল গান্ধি। টুইটারে রাহুল লিখেছেন, এত বড় ঘটনার পর বিদেশ মন্ত্রকের দুর্বল জবাব বিভ্রান্তি কাটাবে না। প্রধানমন্ত্রীর উচিত মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে, জাতির সামনে তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। রাহুলের অভিযোগ, ট্রাম্পের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী ভারতের স্বার্থ এবং ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি লঙ্ঘণ করেছেন।
সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রপতির বৈঠকের পর ট্রাম্পের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি দাবি করেন, গত জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের পর তাঁর সঙ্গে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে মোদী কথা বলেছেন। সেখানে ভারতে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন, ওই বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে পারলে তিনি খুশি হবেন।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পরই মোদীর বিরোধিতায় সরব হন কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। আমেরিকার মতো কোনও তৃতীয় শক্তির সেখানে নাক গলানোর বিন্দুমাত্র এক্তিয়ার নেই। প্রধানমন্ত্রী যদি ট্রাম্পকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে থাকেন, তাহলে তা ভারতের পক্ষে অবমাননাকর।
আরও পড়ুন, ‘কাশ্মীর জট কাটাতে মধ্যস্থতা করতে বলেছেন মোদী’, ট্রাম্পের এ দাবি ওড়াল দিল্লি
এদিনই অবশ্য রাজ্যসভায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। তিনি জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবেই দ্বিপাক্ষিক। দুই দেশের আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীর সমস্যার সম্ভব। এখানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বা মধ্যস্থতার কোনও সম্ভাবনা থাকতে পারে না। সিমলা চুক্তি এবং লাহোর ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বাইরে অন্য কোনও সমাধানসূত্র তৈরি হতে পারে না। এরপরই বিদেশমন্ত্রী জানান, তবে পাকিস্তান যদি ভারতবিরোধী সন্ত্রাসীবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করে একমাত্র তাহলেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব।
জয়শংকরের বিবৃতিদের অবশ্য একেবারেই সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। বিরোধী নেতাদের দাবি, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। প্রধানমন্ত্রীর উচিত সংসদে এসে এই সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা দেওয়া। কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি বলেন, প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় এসে জাতিকে স্পষ্টভাবে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছিল। যদি ট্রাম্পের দাবি অসত্য হয়, প্রধানমন্ত্রীর উচিত তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।
Read the full story in English