রাহলের সাংসদ পদ বাতিলের জেরে দেশজুড়ে 'সত্যগ্রহের’ ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। সকাল ১০টায় ‘সত্যাগ্রহ’ আন্দোলন শুরু হবে এবং শেষ হবে বিকেল ৫টায়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজ ঘাটে ‘সত্যাগ্রহে’ যোগ দেবেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল শনিবার বলেছেন যে দলের কর্মীরা সমস্ত রাজ্য সদর দফতর এবং গান্ধী মূর্তির পাদদেশে রাহুলের সাংসদ পদ বাতিলের জেরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন।
সংসদ পদ বাতিলের পর প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখার সময় মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। রাহুল বলেন, “আদানি ইস্যুতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করার পরও বিজেপি , সেগুলির কোন উত্তর দেয়নি। পরিবর্তে সরকার বিষয়টি থেকে নজর সরানোর চেষ্টা করছে”। তিনি আরও, ‘দেশের মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে কেন প্রধানমন্ত্রী মোদী আদানিকে বাঁচাতে ব্যস্ত? তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকারের জন্য আদানি মানে দেশ আর দেশ মানে আদানি’।
রাহুল গান্ধী শনিবার অভিযোগ করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য তাঁর লোকসভা সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। রাহুল আরও বলেন, তিনি সংসদে তার শেষ বক্তৃতায় আদানি মামলায় অনেক প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা করেছিলেন যে তিনি তার পরবর্তী বক্তৃতায় বিষয়টি আবার উত্থাপন করতে পারেন। এই কারণে প্রথমে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংসদে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয় এবং পরে তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়।
রাহুল গান্ধী এদিন আরও বলেন, ‘সংসদে আমার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। কিন্তু আমি স্পিকারের কাছে অনুরোধ করলে আমাকে অভিযোগের জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে আমি স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু আমার অনুরোধে কোনো সাড়া মেলেনি। আমাকে সংসদে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। সংসদের সদস্যপদ শেষ হওয়া বা জেলে যাওয়ার মতো বিষয়ে আমি ভীত নই। আমি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি মানুষের সামনে উত্থাপন করতে থাকব। তিনি বলেন যে আমি সাভারকার নই, আমি গান্ধী’।
রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে তাকে সংসদ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল যাতে তিনি তার পরবর্তী বক্তৃতা দিতে না পারেন, মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলতে না পারেন। রাহুল গান্ধী এদিন বলেন, ‘আমার সংসদ সদস্যপদ চিরতরে শেষ করে দিলেও আমি আমার কাজ করে যাব। দেশের জন্য আওয়াজ তুলবো’। তিনি আরও বলেন, “আমার সাংসদপদ বাতিল করা, এই পুরো খেলাটি আদানি ইস্যু থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর জন্যই খেলা হয়েছে”।