এখনও তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে দলের শোচনীয় পরাজয়ের পরেই তিনি জানিয়ে দেন, পদত্যাগ করতে চান। বৃহস্পতিবার ফের একবার রাহুল জানিয়েছেন, তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবে দলই।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই তাঁকে উদ্ধৃত করে বলে, "এই সিদ্ধান্ত আমার নেওয়া ঠিক নয়। এই প্রক্রিয়ায় আমি ঢুকব না। নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পরের দিনই রাহুল দলের পরাজয়ের "১০০ শতাংশ দায়" নিয়ে ৫২ সদস্যের কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিকে জানিয়ে দেন যে তিনি পদত্যাগ করতে চান।
ওয়ার্কিং কমিটি, যা কিনা দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী অঙ্গ, তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নাকচ করে তাঁকে ক্ষমতা দেয় দলকে ঢেলে সাজানোর।
খবরে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাহুল রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে কারচুপি এবং "চুরির" অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন।
আজ সংসদের যুগ্ম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণে রাফাল প্রসঙ্গ উঠে আসার প্রেক্ষিতে রাহুল বলেন, "রাফাল জেট চুক্তিতে চুরি হয়েছে, আমার সেই অবস্থান থেকে সরছি না।"
কংগ্রেস ইতিমধ্যে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের কাছে ওই যুদ্ধবিমান চুক্তিতে সম্ভাব্য দুর্নীতির তদন্তের আবেদন জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই চুক্তির ক্ষেত্রে কোনোরকম দুর্নীতি, পক্ষপাতিত্ব, বা ভ্রষ্টাচারের সম্ভাবনা অস্বীকার করা হয়েছে।