Lakhimpur Choas: লখিমপুর-কাণ্ডে আটক হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় প্রবেশ করতে পারেননি ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী এবং পঞ্জাবের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। লখনউতে আটকে দেওয়া হয়েছে এই দুই কংগ্রেস নেতাকে। এই পরিবেশে অহিংস পথেই কৃষক আন্দোলন সফলের ডাক দিলেন রাহুল গান্ধি।
সোমবার প্রিয়াঙ্কার উদ্দেশে ট্যুইট করে রাহুল লেখেন, ‘প্রিয়াঙ্কা আমি জানি তুমি পিছু হটবে না। ওরা তোমার সাহস দেখে ভয় পেয়েছে। ন্যায়ের জন্য চলা এই অহিংস লড়াইয়ে আমরা দেশের কৃষকদের জিতিয়ে ছাড়ব।‘ এদিকে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে আইনি সাহায্য দিতে লখনউ ছুটেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ। সুত্রের খবর, লখনউতেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে।
এদিকে, লখিমপুর যাওয়ার পথে আটক হলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রবিবার রাতে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা লখিমপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁকে আটক করে। লখিমপুরের খেরিতে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলন চলছিল। সেই সময়ে ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয়মিশ্রের কনভয়। ভিড় দেখেও দাঁড়ায়নি গাড়ি, এমনই অভিযোগ কৃষকদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলেই একটি গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলেও দাবি কৃষকদের। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় চার কৃষকের। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। দিনভর লখিমপুরে চলে প্রবল বিক্ষোভ।
সোমবারও দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ চালাচ্ছেন কৃষকরা। এদিকে, লখিমপুরের খেরিতে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বাধা কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁকে আটক করে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর প্রিয়াঙ্কা বলেন, “কৃষকদের নিধন করতে রাজনীতির ব্যবহার এই সরকারের। আজকের ঘটনা এটাই দেখিয়ে দিল। এটা কৃষকদের দেশ, বিজেপির নয়।” এরপরেই উপস্থিত পুলিশ অফিসারদের প্রিয়াঙ্কার প্রশ্ন, “স্বজনহারা পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। কোনও অপরাধ করছি না। আমাদের বাধা দিচ্ছেন কেন? আপনাদের ওয়ারেন্ট থাকা উচিত।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন