মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় শেষ পর্বে প্রবেশ করেছে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার। শুক্রবার হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ে এক প্রচারসভায় মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনায় সোচ্চার হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি যেখানেই যায়, তারা মানুষের মধ্যে লড়াইয়ের সূচনা করে, তা সে হিন্দু-মুসলিম হোক বা অন্য কোনও সম্প্রদায়।
রাহুল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনরেগা'র (MNREGA অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট) যতই সমালোচনা করুন, অর্থনীতির তিনি কিছুই বোঝেন না। তাঁর কথায়, "এরা (বিজেপি) যেখানে যায়, মানুষে-মানুষে লড়াই করিয়ে দেয়, সে হিন্দু-মুসলিম হোক বা জাট-অজাট। এভাবে বিভাজিত হয়ে দেশ এগোতে পারে না।"
ওই প্রচারসভায় রাহুল বলেন যে নোটবাতিল এবং 'গব্বর সিং ট্যাক্স' (জিএসটি) মিলে দেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে ধ্বংস করেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে প্রধানমন্ত্রী দেশের আসল সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে দিতে চাইছেন।
এর আগে এদিন কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল প্রসঙ্গে কংগ্রেস পার্টিকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কংগ্রেসের মতো দল কোনোদিনই মানুষের আবেগ বুঝতে পারবে না, বা দেশের জওয়ানদের আত্মত্যাগকে সম্মান করতে পারবে না।
হরিয়ানার হিসারে এক প্রচারসভায় মোদী বলেন, "এই অঞ্চল বরাবরই ভারতকে গর্বিত করেছে, সে কুস্তির রিং-এই হোক বা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে।" তিনি আরও বলেন যে হরিয়ানার সৈনিকরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই বা দেশকে সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে অগ্রভাগে থেকেছেন।
ওদিকে রাহুল দাবি করেন, ভারত সরকারের বিভাজনের রাজনীতির ফলে ভারত সারা বিশ্বের কাছে হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ভারতে এক জাত আরেক জাতের বিরুদ্ধে লড়ছে, লড়াই চলছে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যেও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য দাবি করেন যে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে "ইতিমধ্যেই হার স্বীকার করে নিয়েছে" কংগ্রেস। শুক্রবার রাজ্যে তাঁর দ্বিতীয় নির্বাচনী প্রচারসভায় মোদী একটি ভিডিওর প্রসঙ্গ তোলেন, যেখানে তিনজন কংগ্রেস নেতা দিল্লিতে সংসদ চত্বরে হরিয়ানা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করছেন।
"আপনারা কি সেই ভিডিওটি দেখেছেন যাতে সংসদ চত্বরে একজন হরিয়ানার নেতাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন কংগ্রেসের এক নেতা? আমি অবাক হয়ে দেখলাম, হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন হরিয়ানার ওই নেতা। দেখেছেন আপনারা ভিডিওটা? মেনে নেবেন হরিয়ানার এই অপমান?" প্রশ্ন করেন মোদী।
অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ মহারাষ্ট্রের আহেরি, রাজুরা, ওয়ানি এবং সাভনের-এ চারটি জনসভায় বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গিয়েছে।