রাহুল গান্ধী ও নবীন পট্টনায়কের মধ্যে গোপন আঁতাত রয়েছে, এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই করলেন ওড়িশার বহিষ্কৃত কংগ্রেস নেতা শ্রীকান্ত জেনা। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘পট্টনায়করাই ওড়িশা শাসন করবেন, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল। রাহুল গান্ধী ও নবীন পট্টনায়কের মধ্যে গোপন আঁতাত রয়েছে।’’ এরপরই ওই বহিষ্কৃত কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘ওড়িশায় মহাজোটের বিরুদ্ধে মহাসংগ্রাম হবে। পট্টনায়কদের শাসন থেকে ওড়িশাকে আমি রক্ষা করব। জনসংখ্যার অর্ধেক শতাংশ ওড়িশা শাসন করবে। কেন? ওড়িশাকে ধ্বংস করতে?’’
রাহুল-নবীনের গোপন আঁতাত প্রসঙ্গে কার্যত হুমকির সুরে শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘সব জায়গায় আমি প্রচার চালাব। ওঁদের সব গোপন কথা ফাঁস করে দেব। এই তো সবে শুরু। আগামী ২৫ জানুয়ারি এ নিয়ে আরও তথ্য সামনে আনব। গোটা দেশ জানবে রাহুল গান্ধী আসলে কী?’’ রাহুলকে নিশানা করে শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘খনি মাফিয়াদের সমর্থনের সংস্কৃতি কংগ্রেসের আগে ছিল না। কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়ে রাহুল গান্ধীই প্রথম কেউ, যিনি এতটা নীচে নামলেন। আমি কখনও ভাবতে পারিনি, পণ্ডিত নেহরুর বংশধর এতটা নীচে নামবেন।’’
আরও পড়ুন, ‘দুর্নীতির মহাজোট নড়বড়ে’, মমতার ব্রিগেড সভাকে নিশানা মোদীর
অন্যদিকে, বালেশ্বরে তাঁর লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে শ্রীকান্ত বলেছেন, বালেশ্বরের কেউই বলতে পারবেন না যে, তিনি কাজ করেননি বা তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত। দল বিরোধী কাজের সঙ্গে শ্রীকান্ত যুক্ত ছিলেন না, দল তাঁকে নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ করেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাগরিয়া। তাঁকেও দল থেকে বহিষ্কার করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
শ্রীকান্তের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা নিরঞ্জন পট্টনায়ক বলেছেন, ‘‘শুধুমাত্র শৃঙ্খলাপরায়ণ সদস্যদের নিয়েই ভাবেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।’’ বিজেডি সাংসদ প্রতাপ কেশারিও দেব বলেছেন, ‘‘উনি যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, তখন ইউপিএ থেকে ইস্তফা দিলেন না কেন?’’ অন্যদিকে, শ্রীকান্তের দাবিকে কার্যত হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিজেপি। সে দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সমীর মোহান্তি বলেছেন, ‘‘ব্যবসায়িক স্বার্থে বিজেডি ও কংগ্রেস পরিকল্পনা করে শ্রীকান্তকে বহিষ্কার করেছে।’’ প্রতাপ কেশারিও দেব আরও বলেছেন, শ্রীকান্তের বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, উনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। উল্লেখ্য, ওড়িশা কংগ্রেসের ইস্তেহার কমিটি থেকে সরানোর পরই গত ডিসেম্বরে দলের দুটি পদ থেকে ইস্তফা দেন শ্রীকান্ত।
Read the full story in English