WFI বিতর্কের মধ্যে রাহুল গান্ধী কুস্তি আখড়ায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন রাহুল গান্ধী বজরং পুনিয়া এবং অন্যান্য কুস্তিগীরদের সঙ্গে দেখা করে দিলেন বিরাট বার্তা।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে হরিয়ানার ঝাঝর জেলায় গিয়ে বজরং পুনিয়া-সহ কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে কুস্তিগীরদের রাহুলের সেই ছবি। যাতে তাঁকে কুস্তিগীরদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায়।
রাহুল এমন এক সময়ে কুস্তিগীরদের সঙ্গে দেখা করেছেন যখন রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (WFI) নিয়ে বিতর্ক চলছে। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক সম্প্রতি WFI-এর নতুন সংগঠন বাতিল করেছে। শুধু তাই নয় নবনির্বাচিত সভাপতি সঞ্জয় সিংকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
সঞ্জয় সিংকে বিজেপি সাংসদ এবং প্রাক্তন ডব্লিউএফআই সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলেই মানা হয়। ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই FIR দায়েরও করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রতিবাদ এমন পর্যায়ে গিয়েছে যেখানে প্রতিবাদরত কুস্তিগিররা নিজেদের পদ্ম সম্মান ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন বজরং পুনিয়া। কেন কংগ্রেস নেতা এখানে এসেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে, পুনিয়া বলেছিলেন যে তিনি আমাদের প্রতিদিনের কুস্তি রুটিন বুঝতে এবং দেখতে এসেছেন। তিনি কুস্তিও অনুশীলনও করতেন। পুনিয়া জানিয়েছেন, রাহুলও তাঁর সঙ্গে কুস্তি করেছেন। তিনি একজন কুস্তিগীরের প্রতিদিনের রুটিন দেখতে আমাদের আখাড়ায় আসেন। তবে রাহুলের সঙ্গে তাঁর বিশেষ কী সম্পর্ক তা নিয়ে মুখ খোলেন নি পুনিয়া।
সরকার WFI বাতিল করেছে
রাহুল যে গ্রামে গিয়ে কুস্তির আখড়ায় কুস্তিগিরদের সঙ্গে সময় কাটান সেটি হল দীপক পুনিয়ার গ্রাম, যিনি ২০২২ সালের বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। বজরং পুনিয়া, দীপক পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাট এবং সাক্ষী মালিক সেই সকল কুস্তিগীরদের মধ্যে রয়েছেন যারা ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। ব্রিজ ভূষণ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংকে যখন নির্বাচিত করা হয়েছিল, তখন কুস্তিগীররাও তার বিরোধিতা করেছিলেন। কুস্তিগীররা বলেছিলেন যে সঞ্জয় সিংয়ের নিয়োগ WFI-তে সংস্কার আনবে না, কারণ তিনি ব্রিজ ভূষণের ঘনিষ্ঠ।
WFI-এর নতুন সভাপতি সঞ্জয় সিং-এই বছরের শেষ নাগাদ অনূর্ধ্ব-১৫ এবং অনূর্ধ্ব-২০ কুস্তি প্রতিযোগিতার ঘোষণার পরে, ক্রীড়া মন্ত্রক WFI-কে সাসপেণ্ড করেছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, কুস্তি প্রতিযোগিতা ঘোষণা করার সময় নিয়মগুলি লঙ্ঘন করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর কুস্তিগিরদের সঙ্গে সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে এর ফলে কুস্তিগিরদের আন্দোলন কেন্দ্রের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি হবে বলেই আশা কুস্তিগিরদের।