বিপাকে কমলনাথ সরকার। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও তাঁর অনুগামী ২২ জন বিধায়ক বিদ্রোহ করেছেন। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, চমকের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা দ্বিগিজয় সিং। তুঙ্গে বিতর্ক। এই পরিস্থিতে মধ্যপ্রদেশ নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন রাহুল গান্ধী। মধ্যপ্রদেশের নির্বাচিত সরকারের অস্বস্তির জন্য দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমায় ভারতে লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৬০ টাকার নিচে হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন।
আরও পড়ুন: সংকটে কমলনাথ সরকার: নজরে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকারের ভূমিকা
এদিন টুইটে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী লেখেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এখন নির্বাচিত সরকার ফেলতে ব্যস্ত। তাই হয়তো আপনার চোখ এড়িয়ে গিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে ৩৫ শতাংশ। আপনি কি এই লাভটুকু সাধারণ ভারতীয়দের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন? তাহলে এক লিটার পেট্রলের দাম ৬০ টাকার নীচে নামবে। অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।'
মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন জ্য়োতিরাদিত্য। মোদীর বাড়িতে হয় বৈঠক। তারপরই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপরই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন কংগ্রেসের ১৯ জন। আরও তিন জন বিধায়ক দল বদল করেছেন বলে দাবি বিজেপির। বিধানসভায় কার্যত সংখ্যালঘু কমলনাথ সরকার। উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য তাই এদিন রাহুল নমোকেই দায়ী করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আস্থা ভোটে চমকের ইঙ্গিত ‘পোড় খাওয়া’ দ্বিগিজয়ের
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে গত সপ্তাহ থেকে। রবিআশঙ্কা করা হচ্ছে, তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০ ডলার পর্যন্ত নামতে পারে। যা আরও কমতে পারে বলে অনুমান। বিশ্ববাজারের তুলনায় ভারতে বর্তমানে তেলের দাম কমার হার সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে দাবি কংগ্রেসের। তাই মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গেই দেশবাসীর তেল সুহারার প্রসঙ্গ তুলে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন রাহুল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন