বিজেপির গোঁড়ামির জন্য গোটা বিশ্বে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারত। বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা হজরত মহম্মদকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তার জন্য ক্ষুদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলো। এতে আখেরে ভারতের ক্ষতি হল বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
তাঁর অভিযোগ, বিজেপির গোঁড়ামির মাসুল ভারতকে গুণতে হচ্ছে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'অভ্যন্তরীণভাবে বিভক্ত ভারত বাহ্যিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিজেপির লজ্জাজনক ধর্মান্ধতা শুধু আমাদের বিচ্ছিন্ন করেনি, বিশ্বব্যাপী ভারতের অবস্থানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।'
কাতার কুয়েত এবং ইরান ইতিমধ্যেই ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে, তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রের বাসিন্দারা ভারতের পণ্য বয়কট করার ডাক দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে কার্যত বাধ্য হয়েই রবিবার বিজেপি তাদের সর্বভারতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে বহিষ্কার করেছে। একইসঙ্গে বহিষ্কার করা হয়েছে দিল্লিতে দলের মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা নবীনকুমার জিন্দালকেও। বিজেপির পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, 'দল সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করে। সব ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননার নিন্দা করে।'
আরও পড়ুন- নবী মহম্মদকে নিয়ে কু-কথা! এক চিঠিতেই ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেল বিজেপির নুপূরের
প্রতিক্রিয়ায়, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম জানিয়েছেন যে, 'নুপুর শর্মার মন্তব্যের পর দেশের অভ্যন্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু, তার জন্য কোনও সমস্যা হয়নি। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তার ফলেই দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি।'
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং আরএসএসকে উদ্দেশ্য করে এই প্রসঙ্গে চিদাম্বরমের টুইট, 'নুপুর শর্মা আর নবীনকুমার জিন্দাল কিন্তু ইসলামোফোবিয়ার আসল স্রষ্টা না। মনে রাখবেন, তাঁরা আসলে রাজার চেয়ে বেশি অনুগত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মাত্র।'
Read full stoy in English