'রাহুল গান্ধী দেশবিরোধী প্রচারের অংশ হয়ে উঠেছেন', নাড্ডার নিশানায় রাহুল। সেই সঙ্গে তিনি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, 'পাকিস্তান ও কংগ্রেসের ভাষা একই। রাহুলের বক্তব্যই তার প্রমাণ'। ব্রিটেনের মাটিতে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে মন্তব্য করায় বিজেপির নিশানায় রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজ্জু রাহুলের এই মন্তব্যের জেরে তাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন। একই সঙ্গে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে আরও বলেন, ‘রাহুল গান্ধী ক্রমাগত বিদেশের মাটিতে দেশের মর্যাদাকে কলঙ্কিত করেছেন। এ কারণে তাকে সংসদ থেকে তাকে সরানোর সময় এসেছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে সংসদ ভবনে আট সিনিয়র মন্ত্রীর বৈঠক হয়।
বৈঠকে আগামী দিনে রাহুলের বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরালো করার পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বক্তব্য নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক থামার নাম নিচ্ছে না। রাহুল গান্ধীকে তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার জন্য বিজেপির তরফে বারবার দাবি উঠেছে।
এবার রাহুলের মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস সাংসদকে বেনজির আক্রমণ শানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আজ শুক্রবার একটি ভিডিও কনফারেন্সে নাড্ডা বলেন, 'নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কথা বলা মানে ১৩০ কোটি ভারতীয়কে অপমান করা, রাহুল গান্ধী কী চান?
শুক্রবার (১৭ মার্চ) একটি ভিডিও কনফারেন্সে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা৷ ব্রিটেনের মাটিতে কথিত দেশবিরোধী বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'রাহুল গান্ধীকে দেশ ও সংসদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে'।জেপি নাড্ডা বলেন, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কংগ্রেস দল দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। জনসাধারণ বারবার প্রত্যাখ্যান করার পরেও, রাহুল গান্ধী এখন দেশবিরোধী প্রচারের অংশ হয়ে উঠেছেন'।
এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, একদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীজির নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। G20 বৈঠকের সভাপতিত্ব করছে এমন এক সময়ে রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে দেশ ও দেশের সংসদকে অপমান করছেন, আমি তার কাছে এর পিছনের উদ্দেশ্যটা জানতে চাই?
তিনি আরও বলেন, 'রাহুল গান্ধী নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কথা বলা ভারতের ১৩০ কোটি ভারতবাসীকে অপমান করা। তিনি বলেন, 'রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে বলছেন যে ভারতে গণতন্ত্র শেষ হয়ে গেছে এবং ইউরোপ-আমেরিকাকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত, ভারতের মতো দেশের জন্য এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে'।
জেপি নাড্ডা এদিন রাহুল গান্ধীকে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, আপনি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য অন্য দেশের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, এর পিছনে আপনার উদ্দেশ্য কী? নাড্ডা দাবি করেছেন, অন্য কোনো দেশের কাছ থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চাওয়া ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ।
নাড্ডা বলেন, 'রাহুল গান্ধী দেশের মানহানি করছেন, ভারত বিরোধী জর্জ সোরোস এবং রাহুল গান্ধীর ভাষা একই, পাকিস্তান এবং কংগ্রেসের ভাষাও একই, এবং এই দেশের মানুষ কংগ্রেসের এই ঘৃণ্য রাজনীতি মেনে নেবে না। এই পাপের জন্য রাহুল গান্ধীকে দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে'।