বোনের রাজনৈতিক অভিষেক নিয়ে স্বভাবতই ‘খুশি’ ভাই। সেকথাই এদিন নিজেই জানালেন রাহুল গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে বুধবার রাহুল বলেছেন, বোনের সঙ্গে একসঙ্গে তিনি কাজ করবেন, তাই ব্যক্তিগত ভাবে খুবই খুশি তিনি। পাশাপাশি বোনের দক্ষতা নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন রাহুল। সোনিয়া পুত্র বলেছেন, ‘‘আমার বোন খুব দক্ষ।’’
প্রিয়াঙ্কার উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও এদিন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। এদিন রাহুল বলেছেন, ‘‘প্রিয়াঙ্কা ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ও রাজ্যের তরুণ প্রজন্ম যা চান, তার সবই পূরণ করবে কংগ্রেস।’’
আরও পড়ুন, প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক অভিষেক আসলে রাহুলের ব্যর্থতা, কটাক্ষ বিজেপির
অন্যদিকে, বিজেপিকে নিশানা করে এদিন রাজীবপুত্র বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ হোক কী গুজরাত কোথাও আমরা আর ব্যাকফুটে খেলব না। আমাদের একটাই লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। প্রিয়াঙ্কার এই সিদ্ধান্তে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি ইতিবাচক দিকে এগোবে।’’
এদিকে, রাহুল গান্ধীর ‘ব্যর্থতার’ জন্যই মহাজোটের দলগুলি কংগ্রেসের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে বলে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তরপ্রদেশেই কংগ্রেসকে না নিয়েই জোট ঘোষণা করেছে সপা-বসপা। সে রাজ্যের ৮০টি কেন্দ্রে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে রাহুলের জবাব, ‘‘মায়াবতীজি ও অখিলেশজির সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই। ওঁদের খুবই শ্রদ্ধা করি। ওঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আদতে আমাদের তিনজনেরই লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। কিন্তু হ্যাঁ, আমাদের লড়াইটা হল কংগ্রেসের মতাদর্শ রক্ষার লড়াই।’’
উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে যোগদান প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘কংগ্রেস আসলে জনসমক্ষে ঘোষণা করল যে রাহুল গান্ধী ব্যর্থ। তাই ওঁর অবলম্বন ঠিক করা হল পরিবার থেকে। মহাজোটের দলগুলি ওঁর সঙ্গ নিচ্ছে না। তাই উনি পরিবারেই জোট করতে চাইছেন।’’ সম্বিত এদিন আরও বলেছেন, লোকসভা ভোটে মোদীর লড়াইটা হবে ‘নামদার’ ও ‘কামদার’-এর মধ্যে।
Read the full story in English