গত সপ্তাহেই সংসদের ভিতর-বাইরে কৃষি আইনের বিরোধীতায় সরব ছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। গান্ধী মূর্তির পাদদেসে বিক্ষোভে বসেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই রেশ বজায় রইল সোমবারও। এদিন অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন রাহুল। তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সোমবার ট্রাক্টর চড়ে সংসদ ভবনে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী। ট্রাক্টরে চালকের আসনে বসেই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'কৃষকদের কথা আমি সংসদে তুলে ধরছি। এই সরকার কৃষকদের কণ্ঠরোধ করছে, সংসদে কোনও আলোচনা করতে দেয় না। অবিলম্বে এই কালা কানুন প্রত্যাহার করতে হবে। গোটা দেশ জানে ২-৩ জন ব্যবসায়ীর স্বার্থেই এই আইন হয়েছে।'
Advertisment
প্রায় এক বছর ধরে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। গত কয়েকমাস ধরে দিল্লি সীমানায় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ধর্না চালাচ্ছে কৃষকদের সংগঠন। আন্দোলন চলাকালীন ৫০০-র বেশি কৃষকের মৃত্যু দাবি আন্দোলনকারীদের। যদিও তা খারিজ করেছে মোদী সরকার। বিক্ষোভের সুর চড়াতে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই কৃষকরাও কিষাণ সংসদ চালাচ্ছে। তিন কৃষি আইন কৃষক স্বার্থ বিরোধী বলে দাবি তাঁদের। কৃষি আইন প্রত্যাহার, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সংস্থান রাখা সহ নানা দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা।
সমাধান সূত্র খুঁজতে এর আগে বেশ কয়েকবার কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার প্রতিনিধিরা। কিন্তু সমাধান এখনও অধরা। দু'পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় এই পরিণতি বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই মুখর তৃণমূল। আন্দোনকারীদের পাসে থাকার কথা একাধিবার বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষক নেতারা ভোটের আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করে গিয়েছেন। সন্তোষ প্রকাশ করেন বাংলার কৃষি ও কৃষকদের প্রতি রাজ্য সরকারের মনোভাবের। কেন্দ্র কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের পাসে তৃণমূল রয়েছে বলেও স্পষ্ট করেছেন নেত্রী।
এদিনও বিরোধীদের হইহট্টগোলে উত্তাল হয় সংসদের উভয় কক্ষ। পেগাসাস ইস্যুতে অধিবেশনে আলোচনার দাবি জানানো হয়। বিরোধীদের স্লোগানে ১২ পর্যন্ত রাজ্যসভা মুলতুবি ঘোষণা করা হয়। একই কারণে ২ পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় লোকসভার অধিবেশনও।