২০১০ সালেই সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করেছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। কিন্তু সেই বিলে জাতিগত সংরক্ষণের বিষয়টি ছিল না। যা বর্তমান বিলেও নেই। কংগ্রেস অবশ্য পাস হওয়া মহিলা সংরক্ষণ বিলে জাতিগত সংরক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবিতে সরব। শুক্রবার যা নিয়ে মুখ খুললেন দলের সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই সংরক্ষণকে 'জুমলা' বলে কটাক্ষ করেছেন ওয়াড়ের সাংসদ। সঙ্গে ইউপিএ আমলে উত্থাপিত মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে যে রাহুল গান্ধী অনুতপ্ত তাও স্পষ্ট করে বলেছেন।
মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিজেপিকে নিশানা রাহুলের
বৃহস্পতিবার সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়েছে। তার পর চব্বিশ ঘণ্টা না কাটতেই শুক্রবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী বলেন, 'মোদী সরকার মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। এই মহিলা সংরক্ষণ আইন আগামী দশ বছরেও বাস্তবায়িত হবে না। এই বিলের ফলে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি তথা ওবিসি মহিলাদের কোনও উপকার হবে না। সুতরাং এক, মহিলা সংরক্ষণের মধ্যেই ওবিসি মহিলাদের সংরক্ষণ দেওয়া হোক এবং দুই এই আইন এখনই বাস্তবায়িত হোক।'
ওবিসিদের নিয়ে ভাবেন না মোদী
রাহুল গান্ধীর কথায়, 'বিজেপি ওবিসিদের ক্ষমতায়ণের উপর অতীতেও বড় বড় কথা বলে। অথচ ওবিসিদের আর্থ সামাজিক উন্নতি ও ক্ষমতায়ণের উদ্দেশে সরকার কিছু করেনি মোদী সরকার। ওবিসিদের আর্থ সামাজিক উন্নতি করতে গেলে আগে খুঁজে বের করতে হবে যে দেশে তাঁদের প্রকৃত জনসংখ্যা কত? সেই জন্য জাতিগত জন গণনার প্রয়োজন। তাই আমাদের দাবি, এর আগে যে জনগণনা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে ওবিসিদের সংখ্যা কত ছিল তা প্রকাশ করা হোক। নতুন করে জাতিগত জনগণনা শুরু হোক। সরকার চালানোয় ওবিসিদের অংশীদারিত্ব মাত্র ৫ শতাংশ। সরকারের মোট বাজেটের মাত্র আড়াই শতাংশ বাস্তবায়ণের অধিকার শুধু ওবিসিদের রয়েছে। সরকার কি সত্যিই মনে করে যে দেশে ওবিসিদের সংখ্যা মাত্র ৫ শতাংশ?'
অনুতপ্ত রাহুল গান্ধী!
কিন্তু ২০১০ সালে মহিলা সংরক্ষণ বিলে কেন জাতিগত সংরক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেনি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার? প্রশ্ন শুনেই হাবে-ভাবে বিরক্তি প্রকাশ করেন রাহুল। তারপর বলেন, '১০০ শতাংশ আফসোস হয়। জাতিহত সংরক্ষণের বিষয়টি মহিলা বিলে সেই সময়ই রাখা উচিত ছিল। আমাদেরই ওটা করা উচিত ছিল।'
উত্তরপ্রদেশ সহ হিন্দিবলয়ে ওবিসি ভোট ব্যাঙ্কে আধিপত্য রয়েছে বিজেপির। ভোটবাক্সেই তা স্পষ্ট। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এ বছরের শেষে হবে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়ে বিধানসভা ভোট। এসবের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে ওবিসি বিরোধী প্রচার চালাতে মরিয়া রাহুল গান্ধী।