কর্ণাটকে ভোটের চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যেতেই উঠে এসেছে অন্য প্রশ্ন। সিদ্দারামাইয়া নাকি ডিকে শিবকুমার? কংগ্রেস কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবে? সেদিকেই এখন সবার নজর। বিজেপি ৭০টিরও কম আসন পাচ্ছে। এটা ধরে নিয়েই শুরু হয়েছে, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা। মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই স্বীকার করে নিয়েছেন যে দল ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিক্রিয়ায় রাহুল গান্ধী বলেন, 'নফরত কি বাজার বন্ধ হো গই হ্যায়, মহব্বত কি দুকান খুল গই হ্যায়। (ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে, ভালোবাসার দোকান খুলেছে)।' শনিবার ঘোষিত ফল অনুযায়ী, কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত ১৩৫টি আসনে জিতেছে বা এগিয়ে আছে। উপকূলীয় অঞ্চল ছাড়া কর্ণাটকের সমস্ত অঞ্চলেই বিজেপির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান ডিকে শিবকুমার কনাকাপুরা আসন থেকে ৭০ শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর বাসভরাজ বোম্মাই শিগগাঁও আসনে জয়ী হয়েছেন।
তবে, এতকিছুর পরও কংগ্রেস এবার অতিরিক্ত সতর্ক। কারণ তারা ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না। সেবার কংগ্রেস এবং জেডি (এস) একত্রিত হয়েছিল। যার ফলে সরকার গঠনের জন্য ১১৬ জন বিধায়ক (কংগ্রেস ৭৬, জেডি-এস ৩৭ ও তিন জন স্বতন্ত্র) তারা সংগ্রহ করেছিল। যাইহোক, এই সরকার শুধুমাত্র একবছর টিকে ছিল। কারণ, কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট তাদের ১৭ জন বিধায়ককে হারিয়েছিল। এই বিধায়করা মুম্বইয়ের একটি রিসর্টে আটকে থাকার পরে পক্ষ পরিবর্তন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কর্ণাটকের বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা তারপর মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু, তিনি ২০২১ সালের ২৬ জুলাই পদত্যাগ করেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন বাসভরাজ বোম্মাই।
আরও পড়ুন- ‘প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা মানুষের মনে দাগ কাটতে পারিনি’, আক্ষেপ বোম্মাইয়ের
এবারের নির্বাচনে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সীমা টপকে কংগ্রেস পেতে চলেছে ১৩৮ আসন। বিজেপি পেতে চলেছে ৬৩টি আসন। আর, জেডিএস পেতে চলেছে ২০টি আসন। ভোটের শতাংশের হিসেবে কংগ্রেস পেতে চলেছে ৪৩.২% ভোট। বিজেপি পেতে চলেছে ৩৫.৬% ভোট। আর, জেডিএস পেতে চলেছে ১৩.৩% ভোট।