ভারত জোড়ো যাত্রার মাঝেই কেন্দ্রকে তুলোধোনা রাহুল গান্ধীর। শনিবার ভারত জোড়ো যাত্রায় এক সভায় তিনি বলেন, “বিজেপি এবং আরএসএসের মতাদর্শ দেশে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করছে। কর্ণাটকের বাল্লারি জেলায় একটি জনসভায় তিনি বলেন, "তারা যা করছে তা জাতীয়তাবাদ নয়, জাতীয়তাবাদ বিরোধী"।
তিনি যোগ করেন “তপশিলী জাতি উপজাতি সহ দলিতদের ওপর আক্রমণের ঘটনা বিজেপি জমানায় বেড়েছে ৫০ শতাংশ” । একই সঙ্গে তিনি বলেন, “দেশ আজ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির কবলে সাধারণ মানুষ আজ জর্জরিত। পেটের খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে আম-আদমিকে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বেকারত্ব আজ আকাশছোঁয়া। নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতেও ব্যর্থ বিজেপি সরকার”।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী, অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ ভাগেল এবং কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়গে শনিবার বাল্লারিতে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিতে কর্ণাটকে পৌঁছেছেন। ভারত জোড়ো যাত্রা আজ ৩৮তম দিনে পা দিল।
রাহুল গান্ধী এদিনের সভায় আরও বলেন, “প্রথম দিকে এই পদযাত্রা কঠিন মনে হয়েছিল, কিন্তু আজ হাজারে হাজারে মানুষ আমাদের সঙ্গে এই যাত্রায় অংশ নিচ্ছেন। এই যাত্রার উদ্দেশ্য বিজেপি, আরএসএসের আদর্শ থেকে দেশকে রক্ষা করা। বিজেপি-আরএসএস দেশকে ভাগ করছে। এটা ভারতের ওপর এক পরিকল্পিত আক্রমণ। এটা দেশপ্রেম নয়, দেশের বিরুদ্ধে কাজ করা হচ্ছে।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, “আজ শিক্ষিত যুবকরা চাকরি পাওয়ার বিষয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। আজ ভারতে ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব’র সাক্ষী থেকেছে। প্রতি বছর ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কোথায় গেল সেই চাকরি? কোথায় গেল সেই প্রতিশ্রুতি? নোটবন্দি, জিএসটি এবং করোনায় প্রধানমন্ত্রীর ভুল নীতির কারণে সাড়ে বারো কোটি যুবক কাজ হারিয়েছেন”।
আরও পড়ুন: < আপাতত জেলেই থাকতে হবে দিল্লির অধ্যাপককে, বম্বে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের >
এদিনের সভায় দুর্নীতি ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিঁধে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “আপনার টাকা থাকলে কর্ণাটকে সরকারি চাকরি কিনতে পারেন। তাই কর্ণাটক সরকারকে ৪০% ‘কমিশন সরকার’ হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে। এখানে যা কিছুই করতে হবে তাতেই আপনাকে ৪০% কমিশন দিয়ে করতে হবে”।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কংগ্রেসের শাসনকালে তার বক্তৃতায় বলতে শোনা যেত, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৪০০ টাকা! আজ সেই সিলিন্ডারের দাম এক হাজার হয়ে গেছে। মা-বোনদের কী করা উচিত এখন ? পাশাপাশি পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে গর্জে উঠে তিনি বলেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম আজ আকাশছোঁয়া। এর আগে এমন দাম দেশের জনসাধারণ কখনও দেখেন নি। একদিকে বেকারত্ব, অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি নাজেহাল করে দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে”।