Anti-Modi Front: মোদী-বিরোধী ফ্রন্ট গঠনে রাহুল গান্ধীকে এগিয়ে আসতে আমন্ত্রণ জানাল শিবসেনা। দলের মুখপত্র সামনায় এই বিষয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। সেই সম্পাদকীয়তে উল্লেখ, ‘শরদ পাওয়ারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলকে জোটবদ্ধ করুন রাহুল গান্ধী। উনি প্রতিদিন কেন্দ্রের সরকারের সমালোচনায় সরব। কিন্তু সেটা ব্যক্তিগতস্তরে ট্যুইটারে।‘
সামনার দাবি, ‘সাম্প্রতিক কালে নরেন্দ্র মোদীর শারীরিক অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। উনি বুঝতে পারছেন দেশের রাশ ওর হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও বিজেপি ও কেন্দ্রের সরকার আত্মবিশ্বাসী আগামি দিনে তাদের সামনে কোনও হুমকি নেই। কারণ বিরোধীরা ছন্নছাড়া।‘ দিন কয়েক আগেই শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে রাষ্ট্রমঞ্চের একটি বৈঠক হয়েছে। যদিও সেই বৈঠককে অরাজনৈতিক আখ্যা দিয়েছেন আহ্বায়করা।
কিন্তু দেশের নয়টি বিজেপি-বিরোধী দলে যশবন্ত সিনহার ডাকা সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও নিস্ক্রিয় ছিলেন শরদ পাওয়ার। নিজেকে শুধু গৃহকর্তা সম্বোধন করে বৈঠকের ঢাকে কাঠি দিয়েছিলেন। এমনকি, বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেভাবে বিজেপি-বিরোধী কোনও মন্তব্য করেননি উপস্থিত প্রতিনিধিরা।
অপরদিকে, বুধবার আরও একপ্রস্থ শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তবে মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের ভবিষ্যৎ এবং জাতীয় রাজনীতিতে শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের এমনটাই সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যে শিবসেনার অন্দর থেকে আওয়াজ উঠেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার হেনস্থার হাত থেকে বাঁচতে ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাক দল। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান বলেছেন, ‘আরও ৩ বছর শিবসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়েই রাজ্যের জোট সরকার চালাবে কংগ্রেস।‘
এমতাবস্থায় আগামি দিনে মহারাষ্ট্র এবং বাংলা জাতীয় রাজনীতির আঁতুড়ঘর হতে চলেছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই দুই রাজ্যেই বিজেপি-বিরোধী সরকার এবং প্রবল পরাক্রমি মোদীর প্রতিপক্ষ। তাই ২০২৪-এর লক্ষে কোনও মোদী-বিরোধী ফ্রন্ট সলতে পাকালে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের তিনটি দলই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ভালোই বুঝেছে শিবসেনা। আর কংগ্রেসকে ছাড়া জাতীয় রাজনীতিতে কোনও সরকার-বিরোধী মঞ্চ গড়ে তোলা প্রায় অসম্ভব। তাই ঘুরিয়ে রাহুলকেই বিরোধীদের সংঘবদ্ধ করতে বার্তা দিল সামনা। এমনটাই মনে করছ ওয়াকিবহাল মহল।