টুইটারের নীতির বিরুদ্ধে পোস্ট করেছেন রাহুল গান্ধী৷ শুধু তিনিই নন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা থেকে শুরু করে সুস্মিতা দেবরাও সংস্থার নিয়ম ভেঙেছেন, এমনই অভিযোগ তুলে তাঁদের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ৷ এই বিষয়টি নিয়েই এবার সরব রাহুল গান্ধী৷ ‘‘টুইটারের এই পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক কাঠামোয় আঘাত’’, সরব কংগ্রেস নেতা৷
অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধী এদিন বলেন, ‘‘“এটা রাহুল গান্ধীর উপর আক্রমণ নয়। আমার ১৯-২০ মিলিয়ন ফলোয়ার আছেন। তাঁদের মতামতের অধিকার অস্বীকার করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, “একটি সংস্থা আমাদের রাজনীতিকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য তার ব্যবসা করে চলেছে৷ একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এটা আমি পছন্দ করছি না।” টুইটারের এই পদক্ষেপ পক্ষপাতদুষ্ট বলেও মনে করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷
সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি এদিন আরও বলেন, ‘‘আক্রমণের মুখে গণতন্ত্র। সংসদে আমাদের কথা বলার অনুমতি দিচ্ছে না। সংবাদমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে৷ টুইটারই একটি মাধ্যম যেখানে আমাদের বক্তব্য রাখতে পারব বলে ভেবেছিলাম৷ এখন মনে হচ্ছে সেই ধারণা ভুল ছিল৷ এখন এটা স্পষ্ট যে টুইটার আসলে একটি নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম নয়। যেদিন সরকারে যারা থাকবে টুইটার তাদের কথাই শুনবে৷”
আরও পড়ুন- রাজ্যসভায় গন্ডগোলে অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার দাবি আট মন্ত্রীর
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লিতে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়৷ মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে এসেছেন কংগ্রেস সাসংদ রাহুল গান্ধী৷ পরে সেই সাক্ষাতের ছবি রাহুল টুইটারে পোস্ট করেন। রাহুলের এই পদক্ষেপেই বিপত্তি বাধে৷ পকসো আইন এবং কিশোর ন্যায় আইন অমান্য করার অভিযোগ এনে সরব হয় শিশু অধিকার রক্ষা জাতীয় কমিশন। এমনকী রাহুল গান্ধীর সেই টুইটের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেও টুইটার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় কমিশন৷ রাহুলের টুইটও মুছতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ তারপরেই শনিবার থেকে সাময়িক বন্ধ কংগ্রেস সাংসদের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন