'রাহুল গান্ধী দেশের মানহানি করছেন, অবিলম্বে ওঁকে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ’ মন্তব্য কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর কিরেন রিজ্জুর। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু বলেন, ‘লন্ডনের সেমিনারে যা বলেছেন তার জন্য রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। তিনি আমাদের গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও দেশকে অপমান করেছেন। যারা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ তোলা উচিৎ।” কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি সংসদের একজন নির্বাচিত সাংসদ, আমি কীভাবে এই বিষয়ে চুপ থাকব। তিনি বলেন, “কংগ্রেস ও রাহুলকে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আমাদের গণতন্ত্র ও সংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়”।
অন্যদিকে, রিজিজুর বক্তব্যের প্রেক্ষিপ্তে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, ক্ষমা চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, “আদানি দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীশিবির জেপিসি তদন্তের দাবি জানালেও তা সরকারের তরফে উপেক্ষা করা হচ্ছে। সংসদে সরকার বিরোধীকন্ঠকে রোধ করতে মরিয়া। বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আলোচনা করতে চায় না কেন্দ্র। এর আগেও বহুবার মোদীজি বিদেশে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তাই রাহুলের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।"
লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও বিজেপিকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, “প্রতিদিন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত করছেন আর বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। কর্ণাটক নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। মোদী সরকারের সাহস থাকলে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য নিয়ে সংসদে বিতর্কের অনুমতি দিন। আমরা প্রমাণ করব কে দেশের বিরুদ্ধে। রাহুলের এই মন্তব্য দেশের বিরুদ্ধে নয়, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে।”