দুই দলই মোদীর বিরোধিতা করেছে। নেতৃত্ব নির্বাচনের আগে লক্ষ্য স্থির রেখে তা পূরণ করার কথা বলছে। তবুও কংগ্রেস-তৃণমূলের সম্পর্ক তলানিতে। মেঘালয়ের নির্বাচনী প্রচারেও একে অপরকে নিশানা করতে রাহুল-মমতার মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে মোদী বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে চাঁচাছোলা তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। 'বিহারীবাবুর' সাফ কথা, 'রাহুল গান্ধী দেশের প্রধানমন্ত্রিত্ব করার উপযুক্ত।' আর মমতা 'গেমচেঞ্জার'।
কী বলেছেন সত্রুঘ্ন সিনহা?
বাজেট বক্তৃতার সময়ই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গন্ধীকে 'ইয়ুথ আইকন' বলেছিলেন তৃণমূলের আসানসোলের সাংসদ। যা নিয়ে হইচই হলেও বিস্ফোরণ ঘটেনি। বিতর্ক এড়াতে যা তৃণমূলের কৌশল বলেই মনে করা হয়। কিন্তু ফের মাথাচাড়া দিল সেই ইস্যু। ২০২৪ সালে মোদী সরকার গড়বেন না সে বিষয়টি প্রায় নিশ্চিৎ বলে মনে করেন শত্রুঘ্ন। তাহলে বিরোদী জোটের নেতৃত্ব কে দেবে? পাটনায় সাংবাদিকদের তৃণমূল সাংসদ জানান, কংগ্রেস দল হিসাবে বিরোধীদের নেতৃত্বে দেওয়ার যোগ্য কিনা তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য 'উপযুক্ত' রাহুল গান্ধী। এমনকী এই তালিকায় রেখেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে।
তৃণমূলের দাবি, আগামী লোকসভায় ভোটের পর বিরোধীদের জোট সরকারকে নেতৃত্ব দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন তিনি। এই অবস্থায় দলীয় লাইনের বাইরে গিয়ে রাহুলের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল তৃণমূল সাংসদের মুখে। তাহলে কী শত্রুঘ্ন সিনহা মনে করেন না মমতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য? জবাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্ব দানের তারিফ করে সাংসদ বলেছেন, আগামী ভোটে তৃণমূল নেত্রী হবেন 'গেমচেঞ্জার'।
আরও পড়ুন- সিয়াটলে নিষিদ্ধ জাতিগত বৈষম্য: আইনে কী জুড়ল? বিতর্কটা কী নিয়ে?
উল্লেখ্য, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। ২০১৯ সালে বিহারের পটনা সাহিব লোকসভা কেন্দ্র থেকে হাত প্রতীকে লড়াই করে পরাজিত হয়েছিলেন।এরপরবাবুল সুপ্রিয়র ছেড়ে যাওয়া আসানসোল কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে লড়ে জয় হাসিল করেন শত্রুঘ্ন।