বিজয় মালিয়া ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, কিংফিশার কর্তার পালানোর ব্যাপারে মদত দিয়েছিল সিবিআই এবং এ ঘটনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্মতি ছাড়া ঘটতে পারত না।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাহুল লিখেছেন, ‘‘মালিয়ার মহানিষ্ক্রমণ ঘটেছিল সিবিআইয়ের সাহায্যে, যারা নিঃশব্দে তাদের নোটিসে, ‘আটকানো’র বদলে ‘জানানো’ লিখে দিয়েছিল। সিবিআই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট করে। এরকম ধরনের হাই প্রোফাইল ও বিতর্কিত মামলায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া লুক আউট নোটিসে এ ধরনের বদল করবে এ কথা গ্রহণযোগ্য নয়।’’
Mallya’s Great Escape was aided by the CBI quietly changing the “Detain” notice for him, to “Inform”. The CBI reports directly to the PM. It is inconceivable that the CBI, in such a high profile, controversial case, would change a lookout notice without the approval of the PM.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) September 14, 2018
বুধবার লন্ডনে বিজয় মালিয়া সাংবািকদের সামনে জানিয়েছিলেন, দেশ ছাড়ার আগে তিনি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তারপর থেকেই মালিয়া ইস্যুতে সরকার বনাম বিরোধীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে শুরু করেছে। মালিয়ার বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরে পরেই অতি দ্রুত সে নিয়ে বিবৃতি দেন অরুণ জেটলি। তিনি দাবি করেন, বিজয় মালিয়া সত্য় বলেননি, তাঁর সঙ্গে মালিয়ার মাত্র একবার সংসদে দেখা হয়েছিল। পরবর্তীকালে মালিয়া নিজে বলেছেন, তাঁর সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর কোনও ‘আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ হয়নি’।
আরও পড়ুন, পালানোর চারদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মালিয়াকে আটকানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ককে
এদিকে বৃহস্পতিবারই জেটলির পদত্যাগ দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ মালিয়াকে দেশ ছাড়ার ব্যাপারে ফ্রি প্যাসেজের ব্যবস্থা করেছেন জেটলি। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পি এল পুনিয়ার দাবির ওপর ভিত্তি করেই কংগ্রেস সোচ্চার হয়েছে। পুনিয়ার বক্তব্য, তিনি ২০১৬-র ১ মার্চ, মালিয়ার দেশ ছাড়ার একদিন আগে তাঁর সঙ্গে জেটলিকে ‘১৫-২০ মিনিট ব্যাপী দীর্ঘ মিটিং’ করতে দেখেছেন।
পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপি-ও। তারা বলেছে, ডুবন্ত কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে বাঁচাতে সক্রিয় ছিল গান্ধী পরিবার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ২০১০ সাল থেকে ইউপিএ সরকারে কিংফিশারের জন্য বিভিন্ন নিয়ম লঘু করতে শুরু করে। কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে বেল আউট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বিরুদ্ধে।