ওসিসিআরপির প্রকাশিত রিপোর্টকে মাথায় রেখে এবার আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চরম আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গৌতম আদানির আদানির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি, গৌতম আদানির পরিবারের সদস্য বিনোদ আদানির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা। এই কেলেঙ্কারির অভিযোগে আদানি গোষ্ঠীর সদস্য তথা গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা। প্রশ্ন তোলেন, কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানিকে আড়াল করছেন?
মুম্বইয়ে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা। সেখানে তিনি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, 'গৌতম আদানির সংস্থার মাধ্যমে এদেশ থেকে বিদেশে ১০০ কোটি ডলার পাচার হয়ে গিয়েছে। শেয়ার বাজারে সংস্থার বাস্তবিক মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দেখিয়ে বিরাট আর্থিক কারচুপি করেছেন গৌতম আদানি। আর, সেই টাকাই তিনি দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন। এত কিছুর পরও কেন গৌতম আদানি ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন?' সেই প্রশ্নই তুলেছেন রাহুল।
রাহুলের প্রশ্ন, 'আদানির সংস্থার মাধ্যমে কেন চিনা এবং বিদেশি নাগরিকদের কেন ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে?' তদন্তকারীদের সঙ্গে আদানিদের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ তুলে রাহুলের অভিযোগ, 'সেবির যে আধিকারিক আদানিকে ক্লিনচিট দিয়েছেন, তিনিই এখন আদানির সংস্থার ডিরেক্টর! মোদীর সঙ্গে আদানির কী সম্পর্ক? কেন ইডি-সিবিআই আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে না? দেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন যেখানে জড়িয়ে, কেন সেখানে জেপিসি তদন্ত হবে না?'
এর আগেও সংসদে মোদী-আদানির সম্পর্ক বা ঘনিষ্ঠাতার অভিযোগে রাহুল সরব হয়েছিলেন। মোদীর প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে আদানির অংশ নেওয়া, দেশের বন্দর থেকে বিমানবন্দর আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকে এখনও পর্যন্ত মোদী বাররার আদানি গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিয়ে এসেছেন।'
আরও পড়ুন- ওয়াইসির নির্বাচনী সভায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান, চরম বিপাকে এআইএমআইএম নেতৃত্ব
রাহুলের সোজা কথা, বিদেশের সংবাদমাধ্যমে পর্যন্ত আদানির সঙ্গে মোদীর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে। রাহুল বলেন, 'শেয়ার বাজারে সংস্থার দাম বাড়িয়ে দেখিয়ে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করা হচ্ছে। দেশে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন একদিকে যখন করা হচ্ছে। তখন আবার,সেই দেশেরই ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। দেশ থেকে যে ১০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে, সেই টাকা কার?'