লোকসভা ভোটের দিন যত এগোচ্ছে, ততই মোদী বাহিনীর বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন রাহুল গান্ধী। এবার সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন কংগ্রেস সভাপতি। পরের মাসেই দেশের তো বটেই, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তির উদ্বোধন হতে চলেছে। সর্দার প্যাটেলের বিশালাকার লৌহ মূর্তিকে নিয়েই এবার মোদীকে খোঁচালেন রাহুল। সর্দার প্যাটেলের ওই মূর্তির গায়ে জ্বলজ্বল করবে ‘মেড ইন চায়না’ লেখা, এমনটাই বলেছেন রাহুল। শুধু তাই নয়, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’-র বদলে ‘মেড ইন চায়না’ লেখা দিয়ে মোদী সর্দার প্যাটেলকে অপমান করেছেন বলে সোচ্চার হয়েছেন সোনিয়া পুত্র।
মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার চিত্রকূট এলাকায় একটি জনসভায় কংগ্রেস সভাপতি এদিন বলেন যে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মূর্তি গড়ছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আদতে তিনি সর্দার প্যাটেলকে অপমান করছেন, কারণ ওই মূর্তির গায়ে লেখা থাকবে ‘মেড ইন চায়না’, ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেখা থাকবে না। প্রসঙ্গত, ওই লৌহ মূর্তি গড়ার কাজে হাত লাগিয়েছেন চিনা কর্মীরাও। প্রায় ২০০ চিনা কর্মী এ কাজে রয়েছেন।
আরও পড়ুন, কাউন্টডাউন শুরু, জোরকদমে চলছে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র কাজ
অন্যদিকে, উনিশের ভোটযুদ্ধের আগে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের এই লৌহ মূর্তি মোদি বাহিনীর প্রচারে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দেশের এই লৌহ মূর্তি অখণ্ডতা ও একতার প্রতীক বলে বর্ণনা করেছে মোদী সরকার। নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৩ সালে এই মূর্তি গড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেসময়ই ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ গড়ার কথা ঘোষণা করেন মোদী। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোহা, মাটি, জল সংগ্রহ করে এই মূর্তি গড়া হয়েছে।
এদিকে কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে রাহুল বলেন যে, লাখো লাখো কাজ কেড়ে নিচ্ছে চিন, যা ভারতীয় বেকার যুবকরা পেতে পারতেন। কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন যে, ‘মেড ইন চায়না’ ট্যাগ রিপ্লেস করে ‘মেড ইন চিত্রকূট’ ট্যাগ বানাবেন। আগামী বছরের দেশের অন্য শহরেও এমনটা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। রাহুল বলেন, "আমি দেখতে চাই যে, চিনা যুবক সেলফি তুলছেন মেড ইন চিত্রকূট ফোনে।"