মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় রাহুল গান্ধী লোকসভায় বলেন, কয়েকদিন আগেই আমি মণিপুর সফর করেছিলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত মণিপুর সফর করেননি। কারণ মণিপুর তাদের জন্য ‘ভারত’ নয়। আজ মণিপুর আর মণিপুরে নেই'। বিজেপি মণিপুরের মধ্যে থাকা ‘ভারত’কে হত্যা করেছে।"
লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে, কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ প্রথমে মণিপুরের হিংসা থেকে শুরু করে বিদেশী নীতি পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে নিশাকা করেন। গৌরব গগৈ বলেছেন, ‘মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা ভাঙতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে’। লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে সংসদেপৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
একদিকে, বিরোধীরা ক্রমাগত মণিপুর হিংসা প্রসঙ্গে মোদীর বক্তব্য দাবি করছে, অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ভারত জোটকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন- প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘এটা অনাস্থা প্রস্তাব নয়, এটা বিরোধীদের আস্থার প্রস্তাব যে কে কার সঙ্গে আছে’।
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আজও হট্টগোলের সম্ভাবনা রয়েছে লোকসভায়। তথ্য অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানি এবং নির্মলা সীতারামন আজ সংসদে বক্তব্য রাখবেন। সূত্রের খবর, আজ সংসদে বক্তব্য রাখতে পারেন রাহুল গান্ধীও।
সংসদে আজ ঝড় তুলবেন রাহুল গান্ধী। এমনটাই জানিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। একই সঙ্গে আজ লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বিতীয় দিনে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ, নির্মলা সীতারমণ। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে অনাস্থা প্রস্তাবের ২য় দিন সংসদে ভাষণ দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার আজ দ্বিতীয় দিন। বিকেল ৫টায় বক্তব্য রাখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্মৃতি ইরানি, নির্মলা সীতারমনও বক্তব্য রাখবেন। সংসদে টমেটোর মালা নিয়ে রীতিমত হৈচৈ শুরু হয়। আম আদমি পার্টির সাংসদ সুশীল গুপ্ত টমেটোর মালা পরে এদিন সংসদে আসেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যান আপত্তি জানান। এর পর রাজ্যসভার কার্যক্রম মুলতুবি হয়ে যায়।
আজও সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ফের আলোচনা হবে। আজ দ্বিতীয় দিন অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিতে চলেছে রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এদিনের আলোচনায় অংশ নেবেন বলেই জানা গিয়েছে। লোকসভায় বিতর্ক শুরু করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ বলেছেন যে মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর "নিরবতার ব্রত" ভঙ্গ করতে, বিরোধী দল ইন্ডিয়াকে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য করা হয়।
মঙ্গলবার লোকসভায় অনাস্থা-বিতর্ক নিয়ে আলোচনায় রাহুল গান্ধী ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডুয়েল দেখার অপেক্ষায় ছিল দেশ। কিন্তু, অনাস্থা-আলোচনায় প্রথমে রাহুল নন, বক্তৃতা শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। আর এই নিয়েই শুরু হয় চরম চর্চা। শুরু থেকেই মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন গগৈ। এদিকে এই আলোচনার আগে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বিরোধীদের ‘পাল্টা চ্যালেঞ্জ’ ছুড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লোকসভা টানা দ্বিতীয় দিন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চলেছে। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কের দ্বিতীয় দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মধ্যে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ এই বিতর্কের সূচনা করে বলেন যে সরকার "এক ভারত" এর কথা বলে "দুই মণিপুর" তৈরি করেছে।
কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বলেছেন, "আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতে সংসদে বিতর্ক আলোচনায় অংশ নিতে চাইছি। প্রধানমন্ত্রী সংসদে আসছেন না...তিনি মণিপুর নিয়ে নীরব। ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন আমাদের এই সরকারের কথা মনে করিয়ে দেয়’। বিরোধী সাংসদরা এদিন সংসদ ১৯৪২ সালের ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনকে স্মরণ করে সংসদ চত্বরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আজ, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে বিজেপি সাংসদ রবি কিষাণ পরিবার তন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার আগে কোটি কোটি টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। দেশের গ্রাম, গরিব, কৃষক, দলিত সম্প্রদায় চিরদিন বঞ্চিত, শোষিত থেকেছে। আজ তারা দেশের উন্নয়নের ফল ভোগ করছে। আজ গোটা বিজেপি এবং গোটা ভারত বলছে- ‘হে অহংকারী, ভারত ছাড়ো’।
কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ এদিন অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অমিত শাহের উদ্দেশ্যে মণিপুর নিয়ে তিনটি প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। তিনি এদিন বলেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সংসদে কথা বলবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন হল- ১. তিনি মণিপুরে গিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন, তাহলে সেই কমিটি এখন পর্যন্ত কী কাজ করেছে? ২. অমিত শাহ আরেকটি শান্তি কমিটি গঠন করেছেন, তারা কটি সভা আয়োজন করেছেন? ৩. মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দপ্তর অসম রাইফেলসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে এবং অসম রাইফেলস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে, তাহলে ডবল ইঞ্জিন সরকার কীভাবে সরকার চালাচ্ছে?
সংসদে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী
সংসদে পৌঁছেছেন রাহুল গান্ধী। তবে তিনি আজ সংসদে বক্তব্য রাখবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, আজকের আলোচনায় অংশ নেবেন রাহুল গান্ধী।
কবে মণিপুর শান্ত হবে, মোদীকে প্রশ্ন বিরোধীদের!
কংগ্রেসের তরফে বুধবার এক ট্যুইট বার্তায় মোদীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে মণিপুর কবে আবার তার স্বাভাবিক জায়গায় ফিরে আসবে? অভিযোগ রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান "অবিশ্বাস" কাজ করেছে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে।কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, “মণিপুর পুলিশ অসম রাইফেলসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পরে মণিপুরে আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে”।
লোকসভায় রাহুল গান্ধীর ভাষণ শুরু
লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভাষণ দিতে শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী। তুললেন আদানির প্রসঙ্গও..! তিনি বলেন, ‘ভয় পাওয়ার দরকার নেই, আমার আজকের বক্তৃতা আদানিকে নিয়ে নয়'।
ভারত জোড়ো যাত্রার সময় অনেকেই আমাকে শক্তি দিয়েছেন: রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধী স্মরণ করেছেন ভারত জোড়ো যাত্রার সেই টুকরো স্মৃতি, যাত্রা চলাকালীন একটি ছোট মেয়ে তাঁকে একটি চিঠি দেন, যাতে লেখা ছিল "রাহুল, আমি তোমার সঙ্গে হাঁটছি"। শুধু ওই মেয়েটিইনয়, অনেক মানুষ আমাকে ভারত জোড়ো যাত্রায় শক্তি জুগিয়েছেন, জানান রাহুল গান্ধী।
রাহুল এদিনের ভাষণের শুরুতেই বলেন, "আমি যখন শেষবার সংসদে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম, সম্ভবত আমার কথাতে অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন।কারণ আমি আদানি ইস্যুতে বক্তব্য পেশ করেছিলাম। মোদীকে চূড়ান্ত কটাক্ষ রাহুলের। তিনি আরও বলেন, এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু আমি আজ আমার বিজেপির বন্ধুদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই কারণ আমার আজকের বক্তৃতা আদানিকে নিয়ে নয়।"
'প্রধানমন্ত্রীর জন্য মণিপুর ভারত নয়': রাহুল
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় রাহুল গান্ধী লোকসভায় বলেন, কয়েকদিন আগেই আমি মণিপুর সফর করেছিলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত মণিপুর সফর করেননি। কারণ মণিপুর তাদের জন্য ‘ভারত’ নয়। আজ মণিপুর আর মণিপুর নেই। বিজেপিকে কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধী বলেন, "বিজেপি মণিপুরের মধ্যে থাকা ‘ভারত’কে হত্যা করেছে।" বিজেপি সাংসদরা রাহুলের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিপ্তে স্লোগান দিতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, ‘রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিত’।রাহুল গান্ধীর বক্তৃতার সময় বিরোধীরা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করলে স্পিকার আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন, "আপনারা যে ধরনের আচরণ করছেন, তা ঠিক নয়। হাউস এভাবে চলতে পারে না”।
‘আপনি বিশ্বাসঘাতক, আপনি দেশপ্রেমিক নন’: বিস্ফোরক রাহুল
অনাস্থা প্রস্তাবের ভাষণে মোদীকে নিশানা করে রাহুল বলেন, "আপনি পুরো দেশকে জ্বালিয়ে দিতে চাইছেন, প্রথমে মণিপুর, এখন হরিয়ানা। আপনি বিশ্বাসঘাতক। আপনি দেশপ্রেমিক নন’ আপনি মণিপুরের সাধারণ মানুষের কন্ঠকে রোধ করার চেষ্টা করছেন।
সংসদে রাহুল গান্ধীর পাল্টা জবাব দিলেন স্মৃতি ইরানি
রাহুল গান্ধীর মণিপুর মন্তব্যের পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, "মণিপুর বিভক্ত নয়। এটি ভারতের একটি অংশ। এটি কখনও বিভক্ত হতে পারে না।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, কেউ ভারত মাতার হত্যার বিষয়ে কথা বলছে। আর তাতে কংগ্রেস হাততালি দিচ্ছে"।
সেনাবাহিনী চাইলে একদিনে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব: রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধী এদিন সংসদে বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী চাইলে একদিনের মধ্যে মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। সরকার মণিপুরে শান্তি চায় না। দেশের মানুষের কথা শোনেন না মোদী। মণিপুরে বিজেপির রাজনীতি ‘ভারতকে’ হত্যা করেছে। জনসভায় ভাষণ দিতে রাজস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন রাহুল গান্ধী। যাওয়ার সময় রাহুল গান্ধী বিরোধী নেতাদের ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়ে দেন। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। উঠে এসেছে ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ।