যৌন হেনস্থার অভিযোগে বিজেপি নেতাদের জড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বেটি বাচাও বেটি পড়াও’ শ্লোগানকে এক হাত নিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার রাহুল বলেন, বেটি বাঁচাও, বিজেপি নেতাওঁসে, মন্ত্রীওঁসে, এমএলএ সে।
মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন উপলক্ষে সে রাজ্যের সেওপুর জেলায় আয়োজিত এক সভায় কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘মোদীজি বেটি বাচাও বেটি পড়াও-এর দারুণ শ্লোগান দিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার এক সদস্যকে নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-র এক মন্ত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত, কিন্তু সে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনও কথা বলেন না।’’
আরও পড়ুন, #Me Too: আকবরের মামলায় তীব্রতর মিটু-র অভিঘাত
রাহুল গান্ধীর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর, যাঁর বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠে এসেছে, এবং উত্তর প্রদেশের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার, যিনি ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েছেন। রাহুল এদিন বলেন, ‘‘শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, উত্তর প্রদেশ এবং মধ্য প্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরাও এ নিয়ে টুঁ শব্দ করেননি। তিনি বলেন, ‘‘শ্লোগানটা একটু পাল্টে নিয়ে বলতে হবে বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও, বিজেপি নেতাওঁসে, মন্ত্রীওঁসে, এমএলএ সে।’’
এনডিএ সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে ১০ জনেরও বেশি মহিলা যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। কংগ্রেস সহ দেশের বিরোধী দলগুলি এ নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া দাবি করার সঙ্গে সঙ্গেই এম জে আকবরের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগও দাবি তুলেছে। এম জে আকবর অবশ্য শুধু এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, অভিযোগকারিণী একজন, প্রিয়া রামাণির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা পর্যন্ত দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন, #MeToo: মুখ খুললেন মন্দাক্রান্তা সেন
উত্তরপ্রদেশের বঙ্গেরমাউয়ের বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত। গত ১১ জুন এ মামলায় সিবিআই যে চার্জশিট দাখিল করেছে তাতে কুলদীপের নাম রয়েছে। এ ঘটনার কথা জানাজানি হয় গত এপ্রিল মাসে। ১৭ বছরের এক কিশোরী অভিযোগ করে যে কুলদীপ নিজের বাড়িতে তাকে ধর্ষণ করেছে। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর পর কয়েক মাস কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অভিযোগ তুলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ওই কিশোরী।
Read Full Story in English