মৎস্যজীবী হয়েই তাঁদের জীবন-জীবিকা বুঝতে উদ্যোগ নিলেন রাহুল গান্ধী। ভোটমুখী কেরলের উপকূলবর্তী ভাদি সমুদ্রতটে এদিন মৎস্যজীবীদের সঙ্গে জাল টেনে কথা বলতে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এদিন রাজ্যের থাঙ্গাসারি এলাকায় উপস্থিত মৎস্যজীবী পরিবারের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমি মৎস্যজীবীদের কাজ এবং পরিশ্রমকে শ্রদ্ধা করি।'
এমনকী রাজ্য বাম সরকারের বিরুদ্ধে এদিন সোচ্চার হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। গভীর সমুদ্রে মৎস্য চাষের জন্য মার্কিন এক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কেরল সরকার। এতে মৎস্যজীবীদের রুটি-রুজিতে টান পড়তে পারে। এমন মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী।
গভীর সমুদ্রে মাছ চাষ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ! এদিন মৎস্যজীবী পরিবারগুলোর প্রতি সেই সম্বন্ধেও সহমর্মিতা জানান রাহুল গান্ধী।
এদিন খুব ভোরে রাহুল গান্ধীকে মৎস্যজীবীদের নৌকায় চড়ে ভাদি সমুদ্রতট ঘুরতে দেখা গিয়েছে। কীভাবে তাঁরা গভীর সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন, সে ব্যাপারে খুঁটিনাটি জানতে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে।
এদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ‘পরিযায়ী শ্রমিক’ বলে চরম কটাক্ষ করেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের কেরালায় লড়াই করা নিয়ে আক্রমণ করে পদ্ম শিবির। বলা হয়, আমেঠিকে সকলে গান্ধী পরিবারকে প্রত্যাখ্যান করার জেরে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় রাহুল গান্ধী।
শবরিমালা মন্দিরে মহিলা প্রবেশের ইস্যুতে লোকসভায় কেরালার ওয়ারনাড় আসনের প্রতিনিধিত্বকারী রাহুল গান্ধীকে টার্গেট করে প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী দাবি করেছেন যে কংগ্রেসের জাতীয় নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্ব এই বিষয়ে দুটি ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। সোনিয়া-পুত্রকে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বানও জানান।
কংগ্রেস এবং রাজ্যে ক্ষমতাসীন বামদের দ্বারা “ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের তুষ্টির” কথাও উল্লেখ করেন বিজেপি নেতা। এরপরই রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতা নিজেই ‘পরিযায়ী শ্রমিক’। তিনি আমেঠিতে থেকে তিনবার নির্বাচিত হয়েও উত্তরপ্রদেশের আসনের উন্নয়নে কিছুই করেননি। বিজেপি নেতার মত, আমেঠির জনগণ প্রত্যাখ্যান করার পর রাহুল গান্ধী এখন কেরালায় আশ্রয় নিয়েছেন।